১৪ ম্যাচে ৭ জয় এবং ৭ হার। দুর্দান্ত ভাবে জয় এসেছে হাতে গোনা কয়েকটি ম্যাচে। মাঝপথে ক্যাপ্টেন বদল করেও প্লে অফের দরজা খোলেনি। ভালো পারফর্ম করতে পারেননি দেশি-বিদেশি বহু তারকাই। মনে করা হচ্ছে পরের আইপিএলের আগে বেশ কয়েক জন ক্রিকেটারকে দল থেকে ছেঁটে ফেলে নতুন কয়েক জনকে নিতে পারে শাহরুখ খানের দল।
কারা বাদ পড়তে পারে? দেখে নেওয়া যাক
দীনেশ কার্তিক
নাইটদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য গৌতম গম্ভীরের পরিবর্তে ২০১৮ সালে তাকে দলে আনা হয়। সে বছর অবশ্য তার নেতৃত্বে খারাপ খেলেনি নাইট রাইডার্স। তৃতীয় স্থানে লিগ শেষ করে তারা। কিন্তু এবারের আইপিএলে একেবারেই ফর্মে ছিলেন না কার্তিক।
১৪ ম্যাচে মাত্র ১৬৯ রান করেন তিনি। টুর্নামেন্টের মাঝপথে নেতৃত্ব ছেড়ে দিলেও ব্যাটে ফর্ম ফেরেনি এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের। মনে করা হচ্ছে পরের আইপিএলের আগে মধ্য পঁয়ত্রিশের সাবেক অধিনায়ককে ছেঁটে ফেলতে পারে নাইট রাইডার্স।
কুলদীপ যাদব
বিস্ময় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীর ফর্ম ড্রেসিংরুমেই বসিয়ে রেখেছিল ভারতীয় স্পিনারকে। ৫টা ম্যাচে সুযোগ হয়ে ছিল মাঠে নামার। তাতেও ছাপ ফেলতে পারেননি। নিয়েছিলেন মাত্র ১টি উইকেট। কেকেআর দলে যেমন রয়েছেন সুনীল নারাইন, তেমনই রয়েছেন বরুণ। কুলদীপকে তাই ছাড়ার কথা ভাবতেই পারে কেকেআর। তার বদলে নতুন কোনো স্পিনারকে সুযোগ দেওয়া যেতেই পারে।
ক্রিস গ্রিন
২০ লক্ষ টাকায় তাকে কিনেছিল কেকেআর। অস্ট্রেলিয়ার এই অলরাউন্ডারকে মাত্র ১টি ম্যাচে খেলানো হয় এ বারের আইপিএলতে। সেই ম্যাচে রানই পাননি তিনি। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে তিনি গুয়েনা অ্যামাজনের অধিনায়ক। তবে কেকেআর তাকে রাখবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই গেল।
টিম সেইফার্ট
নিউজিল্যান্ডের এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে একটি ম্যাচেও খেলায়নি কেকেআর। দলে একাধিক উইকেটকিপার থাকায় সুযোগই পাননি তিনি। চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়া আলি খানের বদলে টিমকে দলে নেয় কেকেআর। তবে দলে ৪ বিদেশির মধ্যে তার জায়গা পাওয়া বেশ মুশকিল। তাই তাকে ছেড়ে দিতেই পারে কলকাতা।
সিদ্ধেশ লাড
ডানহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানও সুযোগ পাননি এবারের আইপিএলতে ম্যাচ খেলার। গতবার তিনি খেলেছিলেন মাত্র ১টি ম্যাচ। সেই ম্যাচে মাত্র ১৫ রান করেন তিনি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মার কোচ দীনেশ লাডের ছেলের ওপর খুব একটা যে ভরসা নেই কেকেআরের তা বলাই যায়। তাকেও বাদ দেওয়া হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
নিখিল নাইক
মহারাষ্ট্রের এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে মাত্র ১টি ম্যাচে সুযোগ দিয়েছিল কেকেআর। সেই ম্যাচে তিনি করেন মাত্র ১ রান। পরের বারের আইপিএলতে তাকে দলে দেখা যাবে কি না সেটা বড় প্রশ্ন। এবারে প্লে অফে সুযোগ না পাওয়ার পর দলে বেশ কিছু পরিবর্তন করতেই পারে কলকাতা।
এসএইচ-১০/২৩/২০ (স্পোর্টস ডেস্ক)