ফুটবলে আরেকটা মেসি আসবে না ১০০ বছরেও

এ এক নিরন্তর আলোচনা—সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে? বিতর্কটা আগে ছিল ফুটবলসম্রাট পেলে আর ডিয়েগো ম্যারাডোনার মধ্যে। সেই বিতর্কের ফাঁকে ফাঁকেই কেউ আবার টেনে এনেছেন লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর অনেকেই ভেবেছিল, আলোচনাটা কিছুদিনের জন্য হলেও থেমে থাকবে। কিন্তু কোথায় কী, সেরার বিতর্ক চলছেই।

সবশেষ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখের স্ট্রাইকার লেভানডফস্কিকে। আর্জেন্টিনার পত্রিকা ওলে পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কির কাছে জানতে চেয়েছিল, সময়ের সেরা কে? এ প্রশ্নের উত্তরে লেভানডফস্কি তো মেসির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ওলেকে তিনি বলেছেন, ‘সে অসাধারণ এক খেলোয়াড়। ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা।’

গত মৌসুমে বায়ার্নকে ঘরোয়া ও ইউরোপিয়ান ট্রেবল জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন লেভানডফস্কি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেছেন ৫৫ গোল। গত মৌসুমেই চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পথে তাঁর দল মেসির বার্সেলোনাকে উড়িয়ে দিয়েছে ৮-২ গোলে। বায়ার্নের কাছে ওই হারের পরই বার্সা ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মেসি।

অনেকে আবার মেসির সমালোচনা করে বলেছেন, মেসি আর আগের সেই মেসি নেই। লেভানডফস্কি মনে করেন, মেসির মানের একজন ফুটবলারের কাছে মানুষের চাহিদা অনেক বেশি, ‘আমি জানি, তাকে ঘিরে মানুষের চাহিদা অপরিসীম। তবে সে তার ক্যারিয়ারে যা পেয়েছে, সেটা আর কারও পক্ষে পাওয়া সম্ভব নয়।’

এরপরই লেভানডফস্কি মেসির আসল প্রশংসাটা করেছেন, ‘আপনাকে হয়তো মেসির মতো কারও আসার জন্য ১০০ বছর অপেক্ষা করতে হবে। সে এরই মধ্যে তার ক্যারিয়ারে যা করেছে, তাতেই সে ফুটবল–ইতিহাসের অন্যতম সেরা।’

এই মেসির সঙ্গেই ২০২০ সালের ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কারের জন্য লড়াই করবেন লেভানডফস্কি। তবে পুরস্কারটি পাওয়ার জন্য মেসিই ফেবারিট। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার ব্যালন ডি’অর পুরস্কারটি দেওয়া হয়নি। সেই পুরস্কারের জন্যও ফেবারিট ছিলেন বায়ার্নের পোলিশ স্ট্রাইকার লেভানডফস্কিই। ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কারে মেসির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে লেফানডফস্কি বলেছেন, ‘আমি জানি যে সেও এটা জিততে চায়। আর এটা স্বাভাবিকই, এটাই তো আমাদের কাজ।’

লেভানডফস্কি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনাকেও, ‘তাঁর চলে যাওয়া গভীর শোকের। এই খবর শোনা ছিল খুব কষ্টের। আমরা সবাই খুব কষ্ট পেয়েছি। কিন্তু মৃত্যু তো অমোঘ। তিনি যখন খেলতেন, আমার হয়তো জন্মও হয়নি। কিন্তু তিনি ১৯৮৬ বিশ্বকাপে কী করেছেন, তা খুব ভালোভাবেই জানি আমি।’

এসএইচ-১৯/০৬/২০ (স্পোর্টস ডেস্ক)