ছেলের গোল করা দেখার পরই বাবার মৃত্যু

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটি বনাম লাইপজিগ ম্যাচে গোল বন্যা দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। ৬-৩ গোলে ম্যাচ জিতেছে সিটিজেনরা। যেখানে একটি গোল করেছেন ম্যানচেস্টার সিটির ডাচ ফুটবলার নাথান এইকে। গোল করার কিছুক্ষণ পরই তার বাবা ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে।

ম্যাচ শেষে এইকে তার বাবার মৃত্যুর সংবাদ পান। আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে ১৬তম মিনিটে গোলটি করেছিলেন তিনি। বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতলেও ম্যাচ শেষে তার বাবার মৃত্যু যেন মলিন করে দেয় সবকিছু।

ইনস্টাগ্রামে বাবার মৃত্যুর সংবাদ জানান এইকে। তিনি বলেন, ‘গত কয়েকটি সপ্তাহ জীবনের জন্য অনেক কঠিন ছিল। আমার বাবা খুব অসুস্থ ছিলেন এবং কোনো চিকিৎসায় কাজ হচ্ছিল না। নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে এই কারণে যে আমার বাগদত্তা, পরিবার ও বন্ধুদের কাছ থেকে অনেক সমর্থন পেয়েছি।

একটা কঠিন সময়ের পর আমি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম গোল করলাম এবং তার কয়েক মিনিট পর আমার মা ও ভাইকে পাশে রেখে বাবা শান্তিতে চিরবিদায় নিয়েছে। আমাকে খেলতে দেখে সবসময় সে গর্ববোধ করত এবং খুশি হতো। আমি জানি তুমি সবসময় আমার সঙ্গে আছ, আমার হৃদয়ে সবসময় থাকবে এবং এটা তোমার জন্য ছিল বাবা।’

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাচটি ছিল ম্যানচেস্টার সিটি ও লাইপজিগের জন্য এবারের মৌসুমের প্রথম ম্যাচ। উড়ন্ত জয় দিয়ে নতুন মৌসুমে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিয়েছে ইংল্যান্ডের ক্লাবটি। এইকেও খেলেছেন দুর্দান্ত। দলের প্রথম গোলটিও করেন তিনি। এরপর নর্দি মুকিয়েলের আত্মঘাতী গোলে সিটিজেনদের ব্যবধান দ্বিগুণ হয়।

বিরতির আগে আর বিরতি থেকে ফিরে দুই গোল শোধ করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন লাইপজিগ ফরোয়ার্ড এনকুনকু। পরে পূরণ করেছেন হ্যাটট্রিকও। কিন্তু জার্মান ক্লাবটিকে একা আর কতটুকু নিয়ে যাবেন! অন্যপাশে পেপ গার্দিওলার ডাগআউট টইটুম্বুর। মাথায় চুল থাকলে হয়তো কাকে রেখে কাকে খেলাবেন, তা ভাবতে ভাবতেই চুল পড়ে যেত স্প্যানিশ ম্যানেজারের। তবে এ রাতে ওসব ভাবার কি আছে!

কোচকে শান্তি দিয়েছেন জ্যাক গ্রেয়ালিশ, জোয়াও ক্যানসেলো ও গ্যাব্রিয়েল জেসুসের গোলগুলো। ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় সিটিজেনদের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ কখনোই ভুলবে না লাইপজিগের ফুটবলাররা।

এসএইচ-১৯/১৭/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)