গেইল-কোহলিকে ছাড়িয়ে অনন্য উচ্চতায় বাবর

মাত্র ৪ রানের দরকার ছিল বাবর আজমের। অবশ্য ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে সাউদার্ন পাঞ্জাবের বিপক্ষে এই ৪ রান না করতে পারলেও টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ৭ হাজার রানের রেকর্ডটা যে তারই হত, তা নিয়ে কেউ শঙ্কা প্রকাশ করবেন না! অবশ্য বেশি সময়ক্ষেপন করতে চাননি বাবর, তাই অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংসে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।

ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম এই সংস্করণে আগের রেকর্ডটি ছিল অন্যতম হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলের। মারমার-কাটকাট এই সংস্করণের রাজা গেইলের রেকর্ডটি করতে লেগেছিল ১৯২ ইনিংস। সেখানে ৫ ইনিংস আগেই ৭ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করেন পাকিস্তান ক্রিকেটের অধিনায়ক। একই রেকর্ড গড়তে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি লেগেছিল ২১২টি ইনিংস।

আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ের সেরা দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন পাকিস্তানি এই ব্যাটসম্যান।

কোহলি-গেইলকে ছাপিয়ে যাওয়ার ম্যাচে বাবরের অপরাজিত ফিফটিতে ৭ উইকেটের বড় জয় পায় তার দল সেন্ট্রাল পাঞ্জাব। চলমান এই আসরে ৬ ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে রয়েছেন তিনি। একটি অর্ধশতকের পাশাপাশি একটি শতরানের ইনিংসও খেলেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তার দলও রয়েছে লিগ টেবিলের সেরা চারে।

পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক কিছুদিন আগেই বনেছেন ওয়ানডে ক্রিকেটের এক নম্বর ব্যাটসম্যান। আইসিসি র‌্যাংকিংয়ে টি-টোয়েন্টিতে তার নাম সেরা দুইয়ে। এখন পর্যন্ত স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ১৯৬ ম্যাচে ১৮৭ ইনিংসে ৪৬.১১ গড়ে করেছেন ৭০৫৫ রান। ৬টি শতক আর ৫৯টি অর্ধশতক গড়া বাবর রান করেছেন ১২৮.৮৫ স্টাইক রেটে। ৩৪ বার অপরাজিত থাকা বাবরের সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি ইনিংসটি ১২২ রানের।

শুধু জাতীয় দলের হয়ে ৬১টি ম্যাচে ২২০৪ রান করেছেন বাবর। আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপে তিনিই নেতৃত্ব দিবেন পাকিস্তানকে। দলের জার্সিতে আরো মারমুখি বাবর। ৪৬.৮৯ গড়ে রান করা এই ব্যাটসম্যানের স্টাইক রেট ছিল ১৩০.৬৪! সেঞ্চুরিয়নে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাত্র ৫৯ বলে নিজের ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ১২২ রানের ইনিংসটা সাজিয়েছিলেন এই মারকুটে ব্যাটসম্যান।

এসএইচ-২১/০৪/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)