৭ উইকেট নিয়ে রফিক-সাকিবকে পেছনে ফেললেন তাইজুল

বল হাতে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে এলোমেলো পাকিস্তান শিবির। বাংলাদেশের করা ৩৩০ রানের জবাবে পাকিস্তান অলআউট ২৮৬। ৪৪ রানে লিড পাওয়ার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব তাইজুলের। বাঁহাতি স্পিনার একাই ৭ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছেন।

দ্যুতিময় এ বোলিংয়ে তাইজুল পেছনে ফেলেছেন মোহাম্মদ রফিক ও সাকিব আল হাসানকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ইনিংসে এতোদিন সবচেয়ে ভালো বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল সাকিবের। ২০১১ সালে ঢাকায় সাকিব ৮২ রানে পেয়েছিলেন ৬ উইকেট। সাগর পাড়ের স্টেডিয়ামের তাইজুল আজ ১১৬ রানে পেলেন ৭ উইকেট। পাক্কা দশ বছর পর সাকিবকে পেছনে ফেললেন তাইজুল।

পাশাপাশি পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বাধিক উইকেট নেওয়ার কীর্তিও গড়লেন তিনি। আজকের ৭ উইকেট নিয়ে তাইজুল পাকিস্তানের বিপক্ষে পেলেন ১৯ উইকেট। মোহাম্মদ রফিক পেয়েছিলেন ১৭ উইকেট।

পাকিস্তানের বিপক্ষে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার পাঁচ বা তার বেশি উইকেট পেলেন তাইজুল। ২০১৫ সালে খুলনায় ড্র হওয়া টেস্টে বাঁহাতি স্পিনার নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংসে সেরা বোলিং করা তাইজুলের এটি দ্বিতীয় সেরা বোলিং। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকায় ২০১৪ সালে ইনিংসে ৮ উইকেট পেয়েছিলেন। তাইজুল বাদে ইনিংসে ৭ উইকেট আছে সাকিব, মিরাজ ও এনামুল হক জুনিয়রের।

রোববার দিনের প্রথম ওভারেই তাইজুল উইকেট পেয়েছেন। প্রথমটা আব্দুল্লাহ শফিক, পরেরটি আজহার আলী। এরপর তার শিকার ফাওয়াদ আলম। প্রথম সেশনে তার হাত থেকে একবারও বল সরাননি অধিনায়ক মুমিনুল। আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তাইজুল। যেমন ছিল তার অ্যাকুরেচি, তেমন তার টার্ন। কোনো বাজে বল নেই। কোনো আলগা বলও করেননি। স্পিনের মায়াবি জাদুতে বুঁদ করে রেখেছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে সকালের সেশনে ১৬ ওভার বোলিং করেছেন। ৩১ রান খরচ করেছেন।

উইকেট ও মেডেন পেয়েছেন সমান ৩টি। উইকেট একটা বাড়তে পারত যদি নাজমুল হোসেন শান্ত স্লিপে আবীদ আলীর ক্যাচ নিতে পারতেন। দ্বিতীয় সেশনের ফিরে প্রথম ওভারে আবার সাফল্য। এবার সেঞ্চুরিয়ান আবীদকে এলবিডব্লিউ করেই ফেরালেন। তাতে তার মুখে বিশাল এক হাসি। উদযাপনেও ছিল প্রাপ্তির ঝিলিক।

এরপর হাসান আলীকে ফিরিয়ে ফাইফারের স্বাদ পান বাঁহাতি স্পিনার। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয়বার পাঁচ উইকেট পেলেন তিনি। এছাড়া পাঁচ উইকেট পেয়েছেন শ্রীলঙ্কা (১), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২) ও জিম্বাবুয়ের (৪) বিপক্ষে। দেশের মাটিতে এ নিয়ে সাতবার পাঁচ উইকেট পেলেন। বিদেশে এ কীর্তি গড়েছেন দুবার। শেষমেশ পাকিস্তানের শেষ দুই উইকেটও যায় তার পকেটে। নোমান আলী ও ফাহিম আশরাফের উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের ২২ গজ রঙিণ করে রাখেন তাইজুল।

বল হাতে মুগ্ধতা ছড়িয়ে তাইজুল দলকে প্রত্যাশিত লিড এনে দিয়েছেন। এমন পারফরম্যান্সের পর ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব বেড়ে গেল।

এসএইচ-২০/২৮/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)