ক্ষেপলেন মেসি!

ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানে ছবি তোলার সময় আন্তোনেলা রোকুজ্জোকে সরে যেতে বলায় কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষেপেছিলেন লিওনেল মেসি। পরে অবশ্য মেসির ক্ষোভের কারণে রোকুজ্জোকে পাশে রেখেই সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীকে ক্যামেরায় ধারণ করেছেন ফটোগ্রাফাররা।

ঘটনা সোমবার রাতের। এদিন ফ্রান্সভিত্তিক সাময়িকী মেসির হাতে তুলে দিয়েছে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার। লেওয়ানডোস্কির এবং করিম বেনজেমার মতো আলোচনায় থাকা তারকাদের পেছনে ফেলে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন তিনি। রেকর্ড সপ্তম বারের মতো এই খেতাব হাতে তুললেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। আগে ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২ ও ২০১৫,২০১৯ সালে এই ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর।

অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে মেসির ছবি তোলার জন্য লাইনে দাঁড়ান চিত্রগ্রাহকরা। তবে পাশে স্ত্রী থাকায় ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর পরিচালক রোকুজ্জোকে একটু সরে দাঁড়াতে বলেন। তাতেই ক্ষেপে যান মেসি, তার ইচ্ছা যে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়েই ফ্রেমে বন্দী হওয়া! শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। তিন ছেলে থিয়াগো, মাতেও ও সিরো এবং স্ত্রীকে পাশে রেখেই ছবি তুলেন মেসি।

এবারের ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত পাঁচজনের তালিকায় উঠে আসেন মেসি, লেওয়ানডোস্কি, জর্জিনিও, করিম বেনজেমা ও এনগোলো কান্তে। এই পাঁচ খেলোয়াড়ের মধ্যে সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে পুরস্কারটি জিতলেন মেসি। দ্বিতীয় হন পোলিস স্ট্রাইকার রবার্ট লেওয়ানডোস্কি। ‍তৃতীয় ইতালিয়ান মিডফিল্ডার জর্জিনিও।

ব্যক্তিগত ও দলীয় পারফরম্যান্সে কিছু কিছু জায়গায় মেসির চেয়ে এগিয়ে বায়ার্ন মিউনিখের পোলিস স্ট্রাইকার রবার্ট লেওয়ানডোস্কি। জার্মান বুন্দেসলিগায় গত মৌসুমে লেওয়ানডোস্কি ছিলেন দারুণ ফর্মে। দলকে লিগ ও সুপার কাপ জিতিয়েছেন তিনি। বুন্দেসলিগা জয়ের পথে গড়েছেন ৪১ গোলের অনন্য রেকর্ড। যা আবার বুন্দেসলিগায় এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও। এ মৌসুমেও ২০ ম্যাচ খেলে ২৫ গোলের দেখা পেয়েছেন তিনি।

লেওয়ানডোস্কির সঙ্গে তুলনায় মেসি দেশকে জিতিয়েছেন কোপা আমেরিকার শিরোপা। বার্সেলোনার জার্সিতে গত মৌসুমে পেয়েছেন ৩০ গোলের দেখা। এ মৌসুমে অবশ্য পিএসজির হয়ে অনুজ্জ্বলই তিনি।

এসএইচ-২১/০১/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)