বাংলাদেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেন কুয়েত জাতীয় দলের ক্রিকেটার

বাবা বাংলাদেশি, মা শ্রীলঙ্কান। জন্ম ও বেড়ে উঠা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে। তবুও মনেপ্রাণে নিজেকে একজন বাংলাদেশি বলেই মনে করেন। বলা হচ্ছে, কুয়েত জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য মুর্শিদ মোস্তফার কথা। ২০১৯ সালে দেশটির হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে তার। এরই মধ্যে বেশ সুনামও কুড়িয়েছেন। কিন্তু তার মন পড়ে রয়েছে সোনালি পাড়ের দেশ বাংলাদেশে।

কখনো সুযোগ পেলে জাতীয় দলের জার্সিটা গায়ে চাপাতে চান। খেলতে চান বাংলাদেশের হয়ে। সম্প্রতি সিলেটের বড়লেখায় নিজেদের পৈতৃক বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। সেখান থেকেই সময় সংবাদের সঙ্গে মুঠোফোনে আলাপ হয়েছে। মুর্শিদ মোস্তফার ক্রিকেট নিয়ে স্বপ্নের কথা শুনেছেন মো. ফখরুল ইসলাম।

২০০৬ সালে ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয় মুর্শিদ মোস্তফার। কুয়েত অনূর্ধ্ব-১৬ ও ১৯ দলে ভালো খেলে কুয়েত জাতীয় দলের নির্বাচকদের নজরে আসেন। ২০১৮ সালে জায়গা করেন জাতীয় দলে। পরের বছর মালদ্বীপের বিপক্ষে তার অভিষেক হয়। তবে স্বপ্ন দেখেন একদিন তিনি বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন।

বাংলাদেশে কেমন কাটছে?

মুর্শিদ মোস্তফা : আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে। এইতো কিছুক্ষণ আগে ফার্স্ট ডিভিশনের একটা ম্যাচ খেলে এসেছি সিলেট স্টেডিয়াম থেকে। আল্লাহর রহমতে সেখানে ম্যাচসেরা হয়েছি। আর এটাই বাংলাদেশের মাটিতে আমার প্রথম ম্যাচ ছিল।

কুয়েত জাতীয় দল এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করছে। ২০১০ সালের পর থেকে আইসিসির সহযোগী সদস্য এই দেশটি বিশ্বের বিভিন্ন লিগে নিয়মিত খেলছে। আপনি সেখানে ক্যারিয়ার গড়ার চেয়ে বাংলাদেশে আসতে চান কেন?

মুর্শিদ মোস্তফা : দেখেন, আমার বাবা একজন ব্যবসায়ী। আর তার চেয়ে বড় কথা তিনি বাংলাদেশের মানুষ। তিনি আমাকে সবসময়ই বলেন, বাবা আমার জীবনের একটাই স্বপ্ন, তুমি বাংলাদেশের হয়ে খেলবা। আর তাই আমার বাবার এ স্বপ্ন পূরণ করতেই বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চাই।

আমরা সাধারণত দেখি, আইসিসির সহযোগী সদস্যদেশগুলোতে সেভাবে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার কম থাকে। অনেক দলে তো এমনই হয় যে, ক্রিকেটারদের অনেকে পাশাপাশি অন্য পেশার সঙ্গেও যুক্ত থাকেন। কুয়েতে সিস্টেম কেমন?

মুর্শিদ মোস্তফা : আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের ওখানে (কুয়েত) এক্ষেত্রে ভালো। সেখানে প্রতিবছর ২০ জন করে ক্রিকেটারকে চুক্তিবদ্ধ করা হয়। আল্লাহর রহমতে গত তিন বছর ধরে আমি সেই তালিকায় আছি। এখনো চুক্তিতেই আছি।

আপনি বিপিএল নিয়ে আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। কোনো ফ্রাঞ্চাইজি আগ্রহ দেখিয়েছে?

মুর্শিদ মোস্তফা : না, এখনো কেউ আগ্রহ দেখায়নি। আর আমিতো সরাসরি জাতীয় দলে সুযোগ পাব না। আগে আমাকে বিপিএল বা অন্য ঘরোয়া লিগে আগে খেলতে হবে। তারপর হয়ত জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে একটা সম্পর্ক হবে। সবাই চিনবে, জানবে।

আপনি তো অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের কাউকে আইডল মানেন?

মুর্শিদ মোস্তফা : আমি বাংলাদেশের খেলা নিয়মিত ফলো করি। সাকিব ভাই, মাহমুদউল্লাহ ভাইসহ সবার খেলাই ভালো লাগে।

দেশে কি বেড়াতেই আসছেন, নাকি অন্য উদ্দেশ্য আছে?

মুর্শিদ মোস্তফা : আমি আসলে দেড়মাসের ছুটিতে এখানে এসেছি। এই যে সিলেটে আজকে খেললাম। এভাবে যদি আরও সুযোগ পাই, তাহলে আরও কিছুদিন থাকব।

এসএইচ-৩০/২০/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)