বাংলাদেশে ফিরছেন হাথুরুসিংহ, পেস বোলিং কোচ চামিন্দা ভাস!

জাতীয় দলের পেস বোলিং কোচ হিসেবে শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি চামিন্দা ভাসকে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ বিষয়ে তার সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনাও শুরু করেছে বিসিবি।

চলতি মাসের নিউজিল্যান্ড সফরের পর শেষ হয় পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি। এরপর থেকেই নতুন কোচের সন্ধানে ক্রিকেট বোর্ড। নীতি নির্ধারকদের পছন্দের তালিকায় আছেন লঙ্কান কিংবদন্তি চামিন্দা ভাস।

খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পর পুরোদস্তুর কোচ হিসেবে কাজ করছেন ৪৭ বছর বয়সী সাবেক এই তারকা পেসার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭৬১ উইকেট শিকার করেছেন ভাস। ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ড দলের খন্ডকালীন দায়িত্ব পান কোচ হিসেবে। ২০১৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা দলের সঙ্গে কাজ করেন। এরপর আরও দুই দফায় লঙ্কানদের কোচ হিসেবে কাজ করে, গত বছর বেতন ইস্যুতে সরে দাঁড়ান ভাস।

সব কিছু ঠিক থাকলে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে দেখা যেতে পারে ভাসকে। শুধু তাই না, সাবেক কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহকে পেতেও আলোচনা চলছে। এ নিয়ে সোমবার ক্রিকেট বোর্ডে অনুষ্ঠিত হয় এক অনানুষ্ঠানিক সভাও। তবে এখনো কিছুই চূড়ান্ত না।

টিম টাইগার্সের নিউজিল্যান্ড সফর শেষে নতুন করে আলোচনায় ছিলেন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। এমনকি সিরিজ শেষে নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার পথ ধরায় অনেকে এমনও বলাবলি শুরু করেছিলেন এই বুঝি তার শেষ যাওয়া!

কিন্তু না, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আস্থা রাখছে এ কোচের ওপর। বৃহস্পতিবার বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, আপাতত রাসেল ডমিঙ্গোই থাকছেন।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ব্যর্থতায় এমনিতেই নড়বড়ে তার চেয়ার। ক্রিকেট বিষয়ক কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, গেল বছরের নভেম্বরেই ডমিঙ্গোকে ছাঁটাই করার গুঞ্জন উঠেছিল। তবে নিউজিল্যান্ড সিরিজ পর্যন্ত তাকে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বলা হয়। আর তাই সিরিজটি শেষ হতেই আবারও নতুন করে আলোচনা হচ্ছিল।

শোনা যাচ্ছিল, আসন্ন বিপিএলের পর ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের আগেই যে কোনো কিছুই হতে পারে। বলা হচ্ছিল, বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন এ ব্যাপারে মিটিংয়ে বসতে পারেন তিনি।

২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ইংলিশ কোচ স্টিভ রোডসকে বিদায় করে ডমিঙ্গোর হাতে দলকে সঁপে দিয়েছিল নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ড। ২০২৩ সালের মধ্যে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর একটি ওডিআই বিশ্বকাপ। ২০১৯ সালের আগস্টে দায়িত্ব পাওয়া প্রোটিয়া কোচের সামনে বড় চ্যালেঞ্জই ছিল।

প্রাথমিকভাবে চুক্তি ছিল ২ বছরের। যার শুরুটা হয় চরম হতাশার মধ্য দিয়ে। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের কাছে টেস্ট হেরে বসে বাংলাদেশ দল। এরপর ভারত ও পাকিস্তান সফরেও কিছুই করতে পারেনি তারা। মাঝে করোনাভাইরাসের কারণে লম্বা সময় খেলা গড়ায়নি মাঠে। তবে খেলা মাঠে ফিরলেও ডমিঙ্গোর অধীনে সুদিন ফেরেনি টাইগারদের। দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হার আর নিউজিল্যান্ড সফরে সব ম্যাচ হারের পর ব্যাপক সমালোচনা হয়।

এসএইচ-০৩/২৫/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)