আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিরছেন সাবিনারা

দীর্ঘ ৯ মাসের বিরতির পর অবশেষে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সবশেষ গতবছর এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে খেলেছিল মেয়েরা। এবার সাফের আগে দেশের মাটিতে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় সাবিনা, মারিয়াদের।

আসন্ন সাফের আগে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রস্তুতির পাশাপাশি র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন নারী দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। ভারতকে শক্তিশালী মানলেও, সাফে নেপালের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে বলে মনে করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। এদিকে, আগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারের সাফে ভালো কিছুর আশা ফুটবলারদের।

মালয়েশিয়া ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ৮৮ নম্বরে। আর বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৫। তাই সাফের আগে এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলতে পারাটা যেমন প্রস্তুতির বড় একটি অংশ হবে। তেমনি এই দুটি প্রীতি ম্যাচ র‌্যাংকিংয়েও এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ বলে মনে করেন নারী দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।

গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ছোটন বলেন, ‘আমরা অনেকদিন পর ফিফা ফ্রেন্ডলিতে ফিরছি। আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফেরা আমাদের মেয়েদের জন্য একটি বিরাট ব্যাপার। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ সাফের প্রস্তুতিতে আমাদের এগিয়ে রাখবে।’

এদিকে কৃষ্ণা মারিয়াদের যে দলটা ছিলো অনূর্ধ্ব ১৮ দলে, তাদের বেশিরভাগ খেলোয়াড় নিয়েই এখন নারীদের সিনিয়র টিম। সাফের আগে যেটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। নিচ্ছেন বাড়তি প্রস্তুতি। ভারতকে শক্তিশালী মানলেও, আসন্ন সাফে নেপালের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচের প্রত্যাশা তার।

তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝে খেলোয়াড়দের থিওরিটিকাল কিছু ক্লাস হয়। তাছাড়া আমাদের মাঠের কৌশল শিখানো হয়। ভারতের ফুটবল স্ট্রাকচার অনেক শক্তিশালী। আমরা আশা করছি নেপালের বিপক্ষে আমাদের ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।’

বয়সভিত্তিক দলে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা মারিয়াকে আসন্ন সাফে দেখা যেতে পারে সাবিনার সহ-অধিনায়কের ভূমিকায়। বয়সভিত্তিক পর্যায়ে যেভাবে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তার প্রত্যাশা, সিনিয়রদের সাফেও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

সিনিয়র দলের ভাবনা নিয়ে মারিয়া বলেন, ‘আমি সব সময় যেভাবে খেলেছি, সেভাবে খেলার চেষ্টা করব। যেহেতু এটা সিনিয়র সাফ, এখানে জোরটা একটু বেশি দিতে হবে। তাহলে ভালো ফলাফল আসবে। বয়সভিত্তিক দলে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়ে খেলে এসেছি, একই প্রচেষ্টা থাকবে সিনিয়র দলেও।’

স্বাগতিক নেপাল ও ভারত ছাড়া, আসন্ন সাফে অন্য দলগুলোর চেয়ে র‌্যাংকিং ও শক্তিমত্তায় এগিয়ে বাংলাদেশ। তাই এবারের সাফে ফাইনালে খেলার প্রত্যাশা লাল সবুজদের।

এসএইচ-১৮/১৩/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)