রিয়াল মাদ্রিদ শেষবার হেরেছিল লিভারপুলের বিপক্ষে

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ শেষবার হেরেছিল লিভারপুলের বিপক্ষে। আবার তাদের শেষ জয়টাও এই ইংলিশ জায়ান্টদের বিপক্ষেই। এদিকে ইউরোপিয়ান কাপ থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নামকরণের পর ফাইনালের মহারণে হার নেই লস ব্লাঙ্কোসদের।

ইউরোপ ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের লড়াইয়ে সবচেয়ে সফল দল রিয়াল মাদ্রিদ। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বাধিক ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন স্প্যানিশ জায়ান্টরা। স্তাদে দ্য ফ্রান্সে শনিবার (২৮ মে) রাতে লিভারপুলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তারা খেলেছে এই প্রতিযোগিতার ১৬ ফাইনাল।

যেখানে তারা হেরেছে শুধু বেনফিকা, ইন্টার মিলান ও সবশেষ ১৯৮০-৮১ মৌসুমে লিভারপুলের বিপক্ষে ১-০ গোলের ব্যবধানে। এরপর ১৯৯২ সালে ইউরোপিয়ান কাপ থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নামকরণের পর আরও সাত ফাইনাল খেললেও তাদের হারাতে পারেনি কোনো দল। মাঝখানে ২০১৭-১৮ মৌসুমে তারা লিভারপুলের বিপক্ষে নিয়েছে ৩৭ বছর আগের প্রতিশোধ। ম্যাচটি তারা জিতেছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে।

অন্যদিকে এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৯ ফাইনাল খেলে লিভারপুল জিতেছে ৬ আসরের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। শনিবার রাতে প্যারিসে তাদের সামনে সুযোগ থাকছে সপ্তমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন ট্রফি উঁচিয়ে ধরার। আর সেটি হলে, এসি মিলানের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ট্রফি জেতার রেকর্ড গড়বেন তারা।

এদিকে ফাইনালের সমীকরণে দুই দল সমানে সমান থাকলেও জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যানে এগিয়ে ব্লাঙ্কোসরা। ক্লাব ফুটবলে ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতায় এর আগে রিয়াল ও লিভারপুল মোট আটবার মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে রিয়াল জিতেছে চারবার, লিভারপুলের জয় তিন ম্যাচে।

এদিকে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি প্রথম কোচ হিসেবে পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের ডাগআউটে থাকবেন। প্রথম কোচ হিসেবে তার সামনে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের হাতছানি। আনচেলত্তির সঙ্গে সর্বাধিক তিনটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতেছেন রিয়ালের সাবেক কোচ জিনেদিন জিদান এবং লিভারপুলের সাবেক কোচ বব পেইজলি। আনচেলত্তির রেকর্ড এখানেই শেষ নয়। প্যারিসে জিতলে আনচেলত্তি প্রথম কোচ হিসেবে একাধিক ক্লাবের হয়ে দুটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের কীর্তি গড়বেন। এর আগে তার কোচিংয়ে এসি মিলান দুবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়।

এসএইচ-০৭/২৮/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)