নিজের পুরনো ঠিকানায় ফিরে গেলেন লুকাকু

ইন্টারে ২০২০-২১ মৌসুমে দারুণ খেলেছিলেন রোমেলু লুকাকু। ইতালিয়ান ক্লাবকে জিতিয়েছেন লিগ শিরোপা। সেই ইন্টারেই ফিরে গেলেন লুকাকু আবার। যদিও চুক্তিটা স্থায়ী নয়। এক বছরের জন্য ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টারে ধারে খেলতে গিয়েছেন লুকাকু। তার আগের ক্লাবে ফিরতে পারায় দারুণ খুশি লুকাকু।

উভয় ক্লাব তাদের ওয়েবসাইটে বুধবার (২৯ জুন) রাতে আলাদা বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সংবাদমাধ্যমের খবর, লুকাকুকে ধারে দলে টানতে ৬৯ লাখ পাউন্ড খরচ হয়েছে ইন্টারের।

২০২০-২১ মৌসুমে ইন্টারের সিরি আ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন লুকাকু। এরপর গত গ্রীষ্মের দলবদলে ক্লাব রেকর্ড ট্রান্সফার ফি ৯ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে তাকে দলে টানে চেলসি।

শুরুটা ভালো হলেও কিছুদিন পরই ফিকে হয়ে পড়ে তার পারফরম্যান্স। টমাস টুখেলের শুরুর একাদশে জায়গাও হারান তিনি। গত ডিসেম্বরে একটি সাক্ষাৎকারে লুকাকু বলেন, তিনি চেলসিতে ভালো নেই। এরপর থেকে চেলসি একাদশে আরও অনিয়মিত হয়ে পড়েন লুকাকু। ২০২১-২২ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৪ ম্যাচ খেলে গোল করেছিলেন মাত্র ১৫টি।

ধারণা করা হচ্ছে, ইন্টারে যোগ দিতে বেতন কমাতেও রাজি ছিলেন লুকাকু। কিন্ত ইতালিয়ান ক্লাবটির অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভালো না থাকায় তাদের পক্ষে লুকাকুকে স্থায়ীভাবে কিনে নেওয়া বা তার বেতন দেওয়াটা অসম্ভব ছিল।

তবে অনিশ্চয়তা কেটে যেতে শুরু করে লুকাকুকে ক্লাবে ফেরানোর চেষ্টায় গত সপ্তাহে ইন্টারের সভাপতি স্টিভেন ঝাং ব্যক্তিগতভাবে আলোচনায় যোগ দেওয়ার পর। শেষ পর্যন্ত লুকাকুকে ফেরাতে পেরে খুব খুশি তিনি। ইন্টারে ফিরে ক্লাবের টুইটারে ভিডিও বার্তায় লুকাকু বলেন, ‘ আমি ফিরে এসেছি।’

প্রথম মেয়াদে ইন্টারের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৯৫ ম্যাচে ৬৪ গোল করেছিলেন লুকাকু। ইন্টার টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লুকাকু বলেন, ক্লাব ছাড়ার পরও গত মৌসুমে কোচ সিমোনে ইনজাগির সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছিলেন তিনি। তার আশা, এই মেয়াদে মিলানের ক্লাবটির হয়ে আরও ভালো কিছু উপহার দিতে পারবেন।

লুকাকু বলেন, ‘আমি ইংল্যান্ডে যাওয়ার পরও (ইতালিতে) আমার বাড়িটি ছাড়িনি। এতেই পরিষ্কার যে এখানে ফিরে আসতে পেরে আমি কতটা খুশি।’

এসএইচ-২৬/৩০/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)