টি-টোয়েন্টিতে হারের শোধ ওয়ানডেতে তুলতে চায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশকে লজ্জায় ফেলে সফরকারীদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। তিন ম্যাচ সিরিজে স্বাগতিকদের জয় ২-১ ব্যবধানে। এদিকে, সিরিজ হারের পর আসন্ন ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে আশার কথা শোনালেন শেষ টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলানো মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

দশমবারের মতো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ১৫৭ রানের সেই টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের।

ওপেনিং উইকেট জুটির ব্যর্থতার পর টপ অর্ডারেও সেই একই চিত্র। রান তাড়ায় আবারও দিশাহীন বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা। মাঝে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে আফিফ হোসেনের ৩০ বলে ৩৯ রানের পর শেষ দিকে এসে মেহেদী হাসান ও আফিফের ২৪ বলে ৩৪ রানের জুটি ছাড়া সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি কোনো জুটি।

শেষ ১৪ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। ক্রিজে থাকা আফিফের দিকে তাকিয়ে ছিল লাল-সবুজের সমর্থকরা। কিন্তু দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন শেষ পর্যন্ত ৩৯ রানে অপরাজিত থাকা এ ব্যাটার। ইনিংসের শেষ বলে নাসুমের ক্যাচ মিস করলেও তাতে উদযাপনে এতটুকুন ভাটা পড়েনি। প্রথম সিরিজ জয়ের উল্লাসে মাতে স্বাগতিকরা।

ম্যাচশেষে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বলেন, ১৪ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। এক ওভারেই পরিস্থিতি বদলে গেছে। আসলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শুরুর দিকে দ্রুত উইকেট হারালে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। এরপরই তিনি যোগ করেন, ওডিআইতে আমাদের শক্তিমত্তা সম্পর্কে সবাই অবগত আছে। আশা করি আসন্ন সিরিজে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।

এদিকে, সিরিজজয়ী জিম্বাবুয়ে ক্যাপ্টেন ক্রেইগ আরভিন বলেন, শুরুতে ব্যাট করতে নেমে আমাদের ব্যাটসম্যানরা রীতিমতো সংগ্রাম করছিল, কিন্তু রায়ান বার্ল এবং লুক জঙ্গুইয়ের ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। আমরা হয়তো হেরে যেতে পারতাম। কিন্তু দারুণ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য ছেলেদের কৃতিত্ব প্রাপ্য।

এছাড়া ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে বলেন, সেখানে স্পিন বড় অস্ত্র হতে পারে। আশা করছি ওয়ানডেতেও দল ভালো করবে।

এসএইচ-১৬/০২/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)