বাংলাদেশের লজ্জার রেকর্ড এককভাবে জিম্বাবুয়ের দখলে

ভারতের বিপক্ষে এতদিন টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচে হারের লজ্জার রেকর্ডটি ছিল যৌথভাবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের দখলে। সেই রেকর্ডটি বৃহস্পতিবার এককভাবে নিজেদের দখলে নিল রোডেশীয়রা। টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে টানা ১৩ ম্যাচে হেরেছে তারা। বাংলাদেশকে ভারত হারিয়েছে টানা ১২ ম্যাচে।

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটে হেরেছে জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিকদের দেয়া ১৯০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও শুভমান গিল মিলে ভারতকে জয় এনে দেন। ধাওয়ান ১১৩ বলে ৮১ ও গিল ৭২ বলে ৮২ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন। জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরুচে ছিলেন রিচার্ড এনগারাভা। ৭ ওভারে ৪০ রান দিলেও কোনো উইকেট নিতে পারেননি তিনি।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার আগেই ইনিংস গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ের। দুই ওপেনার ইনোসেন্ট কাইয়া ও মারুমানি ২৫ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়লেও দুজনেই বিদায় নেন মাত্র ১ রানের ব্যবধানে। দলীয় ২৫ রানে দীপক চাহারের শিকার হন কাইয়া। মারুমানি ফেরেন ২৬ রানে। ফেরার আগে কাইয়া ৪ ও মারুমানি ৮ রান করেন।

ইনজুরি কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা চাহার ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। তার বোলিং বৈচিত্রে বিধ্বস্ত হন স্বাগতিক দলের ব্যাটাররা। কখনো সুইঙ্গারে রোডেশীয়দের ভুগিয়েছেন তো কখনো বলের লেংথে। পরে আরও একটি উইকেট শিকার করেন তিনি। তার মতো তিনটি উইকেট শিকার করেন প্রাসিধ কৃষ্ণা ও অক্ষর প্যাটেলও।

জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও তুলনামূলকভাবে মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডার ‘ভালোই’ করে। ছয় নম্বরে রেজিস চাকাভা ৫১ বলে খেলেন ৩৫ রানের ইনিংস। রায়ান বার্ল আউট হন ১১ রানে। এরপর লুক জংউই ১৩ রানে বিদায় নিলে নবম উইকেট জুটিতে ৭০ রান তোলেন ব্রাড ইভান্স ও রিচার্ড এনগারাভা। নবম উইকেটে জিম্বাবুয়ের এটি ওয়ানডে ইতিহাসের চতুর্থ সেরা জুটি।

শেষ পর্যন্ত ১৮৯ রান করতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে। ইভান্স ৩৩ ও এনগারাভা ৩৪ রান করেন। নিয়াচির ব্যাট থেকে আসে ৮ রান। ভারতের হয়ে চাহার, অক্ষর ও প্যাটেল ছাড়া একটি উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ সিরাজ।

এসএইচ-১৫/১৮/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)