প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঘরের কাজ শুরু রূপনার

সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের বরণের অপেক্ষায় স্বজন ও এলাকাবাসী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ দেয়ার একদিন পরই গোলরক্ষক রূপনা চাকমার নতুন বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

কাঠমান্ডুর দশরথ রঙশালা স্টেডিয়ামে বাংলার গোলপোস্টে এভারেস্টের মতো দাঁড়িয়ে নেপালের একের পর এক আক্রমণ প্রতিহত করেন রূপনা চাকমা। তবে ঠিক বিপরীত তার বেড়ে ওঠা বসতঘরটি। জীর্ণ ঘরটি বলে দেয় কতটা সংগ্রাম করে এত দূর উঠে এসেছে পিতৃহীন দামাল এই কন্যা।

গত মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসক উপহার নিয়ে রূপনা চাকমার বাড়িতে যাওয়ার পর জরাজীর্ণ ঘরের বিষয়টি সামনে আসে, যা প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে তিনি রূপনা চাকমার জন্য বাড়ি করার নির্দেশ দেন। এর ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই শুরু হয়েছে এর প্রক্রিয়া।

বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনা পেয়ে নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে জায়গা পরিমাপ ও নকশা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রীর এমন মানবিক উদ্যোগে খুশি ভুঁইয়া আদাম গ্রামের বাসিন্দা ও রূপনার পরিবারের সদস্যরা। তাদের রাজকীয় সংবর্ধনায় খুশি পাহাড়ের মানুষও।

নতুন ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি হয়ে রূপনার মা কালাসোনা চাকমা বলেন, ‘ঘরটি পরিমাপের জন্য ইঞ্জিনিয়ার এসেছিল। নতুন ঘর তুলে দেবে বলেছে তারা। এতে আমি খুশি। আগে ঝড়বৃষ্টি হলে ভয় পেতাম। এখন আর সেই ভয় থাকবে না।

দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘর তৈরি কাজ শুরু করার কথা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। জানান, নির্দেশনা এসেছে রূপনার ঘরটি যেন নির্মাণ করে দেয়া হয়। যতদ্রুত সম্ভব ঘরের কাজ শুরু করে দিতে বলা হয়েছে।

সাফজয়ী বাংলাদেশ দলের রূপনা চাকমার বাড়ি নানিয়ারচর উপজেলার দুর্গম ভুঁইয়া আদাম গ্রামে। পিতৃহীন রূপনা চাকমার পরিবারে আছেন মা ও দুই ভাই।

এসএইচ-০৯/২২/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)