সম্পদের শীর্ষে রোহিত, দুইয়ে সাকিব

ক্রিকেট মাঠ হোক অথবা ফুটবল। দলের অধিনায়ক সবসময় মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। দলের কাপ্তান সবসময় চান, তার খেলোয়াড়দের থেকে সেরাটা যেন বের করে আনা যায়। অধিনায়কের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ম্যাচের মোড় বদলে দিতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অধিনায়কের মূল্যও বাড়তে থাকে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী শীর্ষ ৮ দলের অধিনায়কদের নেট মূল্যের দিকে নজর দেয়া যাক।

রোহিত শর্মা (ভারত)

ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা বিশ্বের মধ্যে একজন শ্রেষ্ঠ অধিনায়ক। ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের পদে এখনও সেরা সাফল্য না পেলেও আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে নিজের সেরাটা দেখিয়েছেন তিনি। দলের নেতা ছাড়াও রোহিত দলের ওপেনিংয়ে মূল ভরসা। ভারতীয় অধিনায়ক দলের সাফল্যে অনেক অবদান রেখেছেন রোহিত। বিসিসিআই থেকে ‘এ প্লাস’ গ্রেডে বেতন পাওয়া রোহিত শর্মার বার্ষিক আয় ৭ কোটি ভারতীয় রুপি। এ ছাড়া মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে চুক্তি থেকে রোহিতের আয় আসর প্রতি ১৬ কোটি ভারতীয় রুপি। এ ছাড়া বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ড (নাইকি, ম্যাগি, নিশান) থেকেও আয় আছে ভারতের অধিনায়কের। সব মিলিয়ে বছরে রোহিতের আয় দাঁড়ায় ২৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার, যা ভারতীয় অর্থে দাঁড়ায় ১৯১ কোটি রুপি।

সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)

আবারও বাংলাদেশের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সাকিব আল হাসানের কাঁধে। তার অধীনে এশিয়া কাপে ভালো না করলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো ফলের আশা করছে বিসিবি। তবে ৩৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারের বার্ষিক আয় কত? জাতীয় দল থেকে বার্ষিক আয় বাদেও সাকিব নানা ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের সঙ্গে যুক্ত আছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, লেনোভো, অপো, পেপসি। এসব ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর এবং জাতীয় দল এবং বিভিন্ন লিগ থেকে সাকিব বছরে আয় করেন আনুমানিক ২২ মিলিয়ন ইউএস ডলার।

অ্যারন ফিঞ্চ (অস্ট্রেলিয়া)

কিছুদিন আগেই ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তবে টি-টোয়েন্টি এখনও চালিয়ে যাবেন ৩৫ বছর বয়সী এই ওপেনার। তার হাত ধরেই ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। জাতীয় দলের বেতন এবং নানান ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলে বছরে ফিঞ্চের আয় দাঁড়ায় ৮ মিলিয়ন ইউএস ডলার।

বাবর আজম (পাকিস্তান)

পাকিস্তানের রান মেশিনখ্যাত ওপেনার এবং দলের অধিনায়ক বাবর আজমের আয়ও চোখধাঁধানো। বছরে বাবর আয় করেন ৪ মিলিয়ন ডলার। জাতীয় দলের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তি ছাড়াও বাবর পিএসএলে খেলেন করাচি কিংসের হয়ে। শুধু করাচি কিংসের হয়েই আসরজুড়ে বাবর আয় করেন ১.২৪ কোটি ভারতীয় রূপি। এ ছাড়া পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রখ্যাত ক্রিকেটার হওয়ায়, নানান অ্যাম্বাসেডর থেকেও বিপুল অর্থ আয় করেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।

কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড)

কেন উইলিয়ামসন এই মুহূর্তে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। তার নেতৃত্বে ব্ল্যাকক্যাপরা ২০২১ সালে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল। এ ছাড়া গত দুই ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালও খেলেছে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক বছরে নানান অ্যাম্বাসেডর এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে বছরে ৬.৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার আয় করেন। সানরাইজারস হায়দ্রাবাদ থেকে গত মৌসুমের আইপিএল থেকে উইলিয়ামসনের আয় ছিল ১৪ কোটি ভারতীয় রুপি।

জস বাটলার (ইংল্যান্ড)

সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ব্যাটসম্যানদের একজন জস বাটলার। মরগান থেকে অধিনায়কত্ব পেয়ে দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। ৩২ বছর বয়সী ইংলিশ এই অধিনায়ক এনডোর্সমেন্ট এবং ম্যাচ ফি থেকে আয় করেন বছরে ১০ মিলিয়ন ইউএস ডলার। বাটলার আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেন। সেখান থেকে তার আয় দাঁড়ায় ১০ কোটি রুপি।

মোহাম্মদ নবি (আফগানিস্তান)

২০২১ সালে আফগানদের নেতৃত্ব তুলে দেয়া হয় নবির হাতে। তারপর থেকে দারুণভাবে দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন ৩৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। সারা বছর বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ খেলেন নবি। পাশপাশি আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তি ছাড়াও অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার প্রচুর অর্থ আয় করে থাকেন। প্রাইমস ওয়ার্ল্ডের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, নবির মোট মূল্য ১.২ মিলিয়ন ইউএস ডলার।

টেম্বা বাভুমা (দক্ষিণ আফ্রিকা)

দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ঘরোয়া চুক্তি থেকে তার আয়ের সিংহভাগ উপার্জন করেন। এ ছাড়া তিনি স্পোর্টস ফুট ওয়্যার ব্র্যান্ড নিউ ব্যালেন্সের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। নিউজপ্রেস অনুসারে, বাভুমার বার্ষিক আয় ৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার।

এসএইচ-০২/২৩/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)