ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে দেড়শ’ও করতে পারল না পাকিস্তান

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে লড়াই করার মতো পুঁজিটাও পায়নি পাকিস্তান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান করেছে তারা। বাবর আজম, রিজওয়ানদের ব্যর্থতার দিনে টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাট করেছেন কেবল শাদাব খান।

ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে হাত খুলে খেলতেই পারেননি বাবররা। টি-টোয়েন্টিসুলভ খেলা শাদাব খান করেছেন ১৪ বলে ২০। ইংল্যান্ডের হয়ে বল হাতে দারুণ হিসাবি ছিলেন স্যাম কুরান ও আদিল রশিদ। ৩৪ রান দিয়ে দুজনে মিলে নিয়েছেন ৫ উইকেট।

রোববার  মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ২৯ রান তুলে পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম আঘাত হানেন স্যাম কুরান। দুর্দান্ত এক ইনসুইংয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ইনসাইড এজ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান তিনি। ফেরার আগে ১৪ বলে ১৫ রান করেন পাকিস্তান ওপেনার।

রিজওয়ানকে আউট করার ওভারে মাত্র ১ রান খরচ করেন কুরান। কুরান কিপটে বোলিং করলেও খরুচে ছিলেন তার সতীর্থ ক্রিস ওকস। প্রথম ৩ ওভারে ২৬ রান দিয়ে কোনো উইকেটও নিতে পারেননি তিনি। বেন স্টোকস এক ওভারে দিয়েছিলেন ৮ রান। আর পাকিস্তান পাওয়ার-প্লে শেষে করে ৩৯ রান।

অষ্টম ওভারে আদিল রশিদের হাতে বল তুলে দেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। অ্যাটাকে এসে প্রথম বলেই সাফল্যের দেখা পান রশিদ। তার শর্ট বলে লং অনে ক্যাচ তুলে দেন মোহাম্মদ হারিস। ১২ বলে কেবল ৮ রান করেন তিনি। ইংলিশ লেগ স্পিনার ওই ওভারে দেন ৫ রান।

৬ ওভার শেষে ৩৯ রান তুলেছিল পাকিস্তান। সেই চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন বাবর আজম ও শান মাসুদ মিলে। কিন্তু রশিদের ঘূর্ণিতে ১২তম ওভারে সাজঘরে ফিরতে হয় পাকিস্তান দলপতিকে। ২৮ বলে ৩২ রান করে আউট হয়েছেন বাবর। তার ইনিংসে ছিল ২টি চারের মার। ৬ বল খেলে ইফতিখার এক রানও যোগ করতে পারেননি স্কোর বোর্ডে। তাকে শিকারে পরিণত করেন বেন স্টোকস।

৪ উইকেট হারানোর পর ৪১ রান আসে মাসুদ-শাদাব খান জুটি থেকে। ১৭তম ওভারে কুরানের বলে ডিপ মিডউইকেটে লিভিংস্টোনকে ক্যাচ তুলে দেন মাসুদ। ২৮ বলে তিনি করেন ৩৮ রান। পাকিস্তানকে আশা দেখাচ্ছিলেন শাদাব। তিনিও ফিরে যান পরের ওভারে। ক্রিস জর্ডানের বলে আউট হওয়া শাদাব ১৪ বলে করেন ২০ রান। নেওয়াজকে প্যাভিলিয়নে পাঠান কুরান। ইংল্যান্ডের হয়ে কুরান ৩টি, জর্ডান ও আদিল রশিদ ২টি করে উইকেট পান।

এসএইচ-১০/১৩/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)