একপেশে ম্যাচে ইংল্যান্ডের গোল উৎসব

ইংল্যান্ড বনাম ইরানের হাইভোল্টেজ ম্যাচটা ঠিক জমেনি! একপেশে আধিপত্য বিস্তার করেই খেলেছে ১৯৬৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা। দুটি গোল করলেও ইরান ছিল পুরোপুরি ব্যাকফুটে। রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত এশিয়ার দেশটি তবুও হজম করেছে ৬ গোল। ম্যাচ শেষে ইংল্যান্ডের পক্ষে স্কোরলাইন ৬-২।

যতক্ষণ মাঠে ছিলেন, ততক্ষণ দ্যুতি ছড়িয়েছেন বুকায়ো সাকা, জুদে বেলিংহ্যামরা। গোল না পেলেও হ্যারি কেন সহায়তা করেছেন দুটিতে। মাঝমাঠে ডেক্লাইন রাইস ছিলেন সবচেয়ে সফল। রক্ষণে কিয়েরান থ্রিপিয়ের ও লুক শ ছিলেন দেয়াল হয়ে।

খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সোমবার  ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত বিফলেই যায় তাদের সে চেষ্টা। দুই মিনিট পর ইরানের গোলরক্ষক আলিরেজা বেইরানভান্দ চোটে পড়েন। ঝাপিয়ে বল ধরতে গিয়ে সতীর্থের কপালের সঙ্গে নাক লাগে তার। সঙ্গে সঙ্গে অঝোরে রক্ত পড়তে থাকে। সেবা-শুশ্রূষার পর ম্যাচ শুরু হলেও কিছুক্ষণ পর মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। বদলি হিসেবে নামেন হোসেন হোসিইনি।

আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসা ইংল্যান্ড তবুও গোলের দেখা পাচ্ছিল না। কখনও কাছাকাছি গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে, তো কখনও শট গেছে গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে। ৩৫ মিনিটের সময় সেই ডেডলক ভাঙেন জুদে বেলিংঘাম। লুক শর নেয়া শটে হেডে গোল করেন তিনি। প্রথমার্ধের বাকিটা সময়ও আধিপত্য ধরে খেলে সাউথগেটের শিষ্যরা।

তার ফলও পায় ম্যাচের ৪২ মিনিটে। কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বলে মাথা ছোঁয়ান হ্যারি ম্যাগুয়ের। সেই বল যায় বুকায়ো সাকার সামনে। সাকার শট বাঁক খেয়ে ইরানের জালে প্রবেশ করে। প্রথমার্ধে শেষ গোলটি করেন রাহিম স্টার্লিং, অ্যাসিস্টদাতার খাতায় নাম লেখান অধিনায়ক হ্যারি কেন। সাকা জোড়া গোল পূর্ণ করেন দ্বিতীয়ার্ধে।

ব্যাকফুটে থাকা ইরান প্রথম গোলটি করে ম্যাচের ৬৫ মিনিটে। ইংলিশদের জমাট রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে ওয়ান টুন ওয়ান পাসে বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে যায় ইরান। দুর্দান্ত এক পাস থেকে দৃষ্টিনন্দন শটে ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডকে পরাস্ত করেন মেহদি তারেমি।

ম্যাচের ৩০ মিনিট বাকি থাকতে বেশ কয়েকজনকে বদলি করেন ইংলিশ কোচ। হ্যারি মাগুয়েরের পরিবর্তে এরিক ডায়ার, রাহিম স্টার্লিংয়ের পরিবর্তে ফিল ফোডেন ও বুকায়ো সাকার বদলি হিসেবে নামেন মার্কাস রাশফোর্ড। এক মিনিট পরই গোলের দেখা পেয়ে যান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড। হ্যারি কেনের অ্যাসিস্টে স্কোরলাইন ৫-১ করেন তিনি। দলের সবশেষ গোলটি আসে বদলি হিসেবে নামা জ্যাক গ্রেয়ালিশের পা থেকে। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে অন্য গোলটি করে ইরান: স্কোরলাইন ৬-২।

এসএইচ-১৮/২১/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)