স্পেনের ৭-০ গোলের জয়

ফুটবল বিশ্বকাপের চতুর্থ দিনে গ্রুপ-ই-তে কোস্টারিকার মুখোমুখি হয় স্পেন। ২০১০ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়া স্পেন প্রথম ম্যাচে ৭-০ গোলে বড় জয় পেল।

৯০ মিনিটের খেলা শেষে রেফারি ৮ মিনিটের অতিরিক্ত সময় দেন। তখন ৬-০ গোলে এগিয়ে ছিল স্পেন। এরপর মোরাতার আরেক গোল। ফলে ৭-০ গোলে থামে স্পেন।

কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে স্পেন। লা রোজাদের আধিপত্যের বিপরীতে লক্ষ্যে একটি শটও নিতে পারেনি কেইলর নাভাসের দল। বুধবার লুইস এনরিকের শিষ্যদের জয়টাও এসেছে ৭-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটাই স্পেনের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। এর আগে ১৯৫০ সালের আসরে ব্রাজিল ও ১৯৯৮ সালের আসরে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে ৬-১ ব্যবধানে জিতেছিল তারা।

প্রথমার্ধেই কোস্টারিকার নাজেহাল অবস্থা বানায় স্পেন। নির্ধারিত ৪৫ মিনিটের খেলা শেষে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় লুইস এনরিকের শিষ্যরা। আল থুমামা স্টেডিয়ামে বুধবার কোস্টারিকার বিপক্ষে শুরু থেকে আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসেছিল স্পেন। ১১ মিনিটের মাথায় তার ফলও পায় ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়নরা। স্পেনকে এ সময় লিড এনে দেন দানি ওলমো। আত্মঘাতী গোলের হিসাব বাদ দিলে ২০০২ সালের পর বিশ্বকাপে স্পেনের এটি সবচেয়ে দ্রুততম গোল।

ঠিক ১০ মিনিট পরে আবার গোল হজম করে কেইলর নাভাসের দল। বাম প্রান্ত থেকে এ সময় ডি বক্স বরাবর বল বাড়িয়ে দেন বার্সেলোনা ডিফেন্ডার জর্দি আলবা। তার বল অনেকটা ফাঁকায় পান রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড মার্কো অ্যাসেন্সিও। সেখান থেকে নিঁখুত শটে গোল করেন ২৬ বছর বয়সী ফুটবলার।

কিছুক্ষণ পর আলবাকে ডি বক্সের ভেতর ফেলে দেন কোস্টারিকার দুয়ার্তে। রেফারি কোনো ইতস্তত ছাড়াই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। সেখান থেকে সফল কিক নেন ফেরান তোরেস। ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৩-০। কোস্টারিকার বলে নিয়ন্ত্রণও ছিল খুব কম সময়।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও আধিপত্য ধরে রাখে স্পেন। বিরতি থেকে ফেরার কিছুক্ষণ পর নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন তোরেস। স্পেনের হয়ে এটা তোরেসের ১৫তম গোল। ৭৪ মিনিটে জাল কাঁপান বার্সেলোনার তরুণ মিডফিল্ডার গাভি। তার গোলে অ্যাসিস্ট করেন আলভারো মোরাতা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের সময় গোল পান বদলি নামা কার্লোস সোলার। আর দলের শেষ গোলটি আসে আলবারো মোরাতার পা থেকে।

এসএইচ-০১/২৪/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)