ধর্ষণ আইন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ফিফা

ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক শাস্তি পাওয়ার কথা। কিন্তু কাতারে হয় ঠিক তার উল্টো। মধ্যপ্রাচ্যের ধর্মানুরাগী রক্ষণশীল দেশটিতে ভুক্তভোগীকেই দোষী বলে গণ্য করা হয়। ধর্ষণের শিকার নারীদের সাত বছর কারাদণ্ড এবং ১০০টি চাবুকের বাড়ি মারার শাস্তির আইন রয়েছে। বিশ্বকাপের সময় এ আইন নিয়ে চিন্তায় পড়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা-ফিফা।

কাতারে এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের ব্যক্তি থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নানাভাবে ‘অত্যাচার ও হেনস্তার ঘটনা’ বার বার সামনে এসেছে। প্রতিবাদে সরব হয়েছে অনেক দেশ। সব বাধা উপেক্ষা করে মরুর বুকে শুরু হয় দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। এবার কাতারের ‘ধর্ষণ’ আইন নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে মাঠে বিশ্বকাপের বল গড়ানোর পরপরই।

কাতারে ধর্ষণকে ‘বিবাহ বহির্ভূত যৌন সঙ্গম’ বলে বিবেচনা করা হয়। সেই ক্ষেত্রে ধর্ষক ‘নির্দোষ’। আর ধর্ষিতাকেই ‘অপরাধী’ বলে গণ্য করা হয়। আর তাই ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ উপভোগ করতে আসা লাখ লাখ নারীর সুরক্ষার কথা ভেবে কাতারের প্রশাসনকে সতর্ক করেছে ফিফা। কোনো নির্যাতিতাকে যাতে গ্রেফতার না করা হয়, কাতারের প্রশাসনকে সেই সংক্রান্ত ‘নির্দেশিকা’ পাঠিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।

ওই চিঠিতে ফিফা লিখেছে, কোনো নারী যৌন সহিংসতা বা নির্যাতনের শিকার হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে পারে। কিন্তু ধর্ষণ, যৌন হয়রানি বা সহিংসতার অভিযোগ করলে নির্যাতিতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাবে না।

এতে আরও বলা হয়, কোনো অবিবাহিত গর্ভবতীর মেডিকেল সাহায্য প্রয়োজন হলেও যেন তা দেয়া হয়।

বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির এক সদস্য গত বছর নিজের সহকর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। এ ঘটনায় কাতার প্রশাসন অধিযোগকারীকে সেই ধর্ষককে বিয়ে করার নির্দেশ দেয়। শুধু তাই নয়, সেই ধর্ষককেও ‘নির্দোষ’ আখ্যা দেয়া হয়। এরপর শাস্তি থেকে বাঁচতে দেশ ছাড়তে হয়েছিল ওই ভুক্তভোগী নারীকে।

এসএইচ-০৮/২৫/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)