অভাবে খেলা ছাড়তে চাওয়া ছেলেটাই ব্রাজিলের জয়ের নায়ক

নোভা ভেনেসিয়ার ছোট্ট একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা স্ট্রাইকার রিচার্লিসন। ক্ষুদ্র পরিবারে বেড়ে উঠা রিচার্লিসন প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে ব্রাজিলের চূড়ান্ত স্কোয়াডে খেলার সুযোগ পেয়েছে।

আর প্রথম ম্যাচেই সবার প্রশংসায় ভাসছে সে। সার্বিয়ার বিপক্ষে তার জোড়া গোলের সুবাদে ব্রাজিল নিজেদের প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে জিতে উড়ন্ত সূচনা করেছে বিশ্বকাপে।

তবে, রিচার্লিসনের বেড়ে ওঠার পেছনে রয়েছে করুণ এক ইতিহাস। খেলোয়াড় বাছাই প্রতিযোগিতায় এসে বাড়ি ফেরার টাকাটাও পকেটে ছিল না এই সেলেসাও খেলোয়াড়ের।

সম্প্রতি বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে রিচার্লিসন বলেন, আমার মনে হচ্ছিল খেলাটা ছেড়েই দিতে হবে, তখন শেষ একটা চেষ্টার সিদ্ধান্ত নিলাম। বেলো হরিজন্তেতে আমেরিকা এমজিতে ট্রায়াল দেয়ার জন্য আমার কাছে শুধু যাওয়ার টিকিটের ভাড়া ছিল। ওখানে যদি ট্রায়ালে ব্যর্থ হতাম, ৬০০ কিলো দূরে নিজ বাসায় ফেরার টাকাও থাকত না আমার।

এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি রিচার্লিসনের। ২০১৫ সালে আমেরিকা মিনেইরোর সাথে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন, ফ্লুমিনেন্সে যাওয়ার আগে তার একমাত্র মৌসুম ক্যাম্পেওনাটো ব্রাসিলিরো সেরি বি থেকে শিরোপা জিতেছিলেন। ফ্লুমিনেন্সে দুই বছরে মোট ৬৭টি ম্যাচে ১৯টি গোল করেন।

২০১৭ সালে ক্যাম্পেওনাটো ক্যারিওকাতে ক্লাব রানার্স-আপ হওয়ার সময় তাকে সিজনের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০১৮ সালে ওয়াটফোর্ড এবং তারপরের বছর এভারটনের হয়ে চুক্তিবদ্ধ হন। ২০২২ সালে টটেনহ্যাম হটস্পারের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন রিচার্লিসন।

এসএইচ-১৬/২৫/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)