তিন মিনিটে দুই গোলে সমতায় আফ্রিকান অদম্য সিংহ

সার্বিয়া ও ক্যামেরুনের ম্যাচের চেহারা যেন নির্ধারিত হচ্ছে ছন্দের ভিত্তিতে। পিছিয়ে পড়ার পর টানা ৩ গোল গোলে লিড নেয়া সার্বিয়া ম্যাচ অনেকটাই শেশ্বহ করেছে ফেলেছে, এরকম পরিস্থিতির পর দ্বিতীয়ার্ধে গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে ক্যামেরুন। ৬৩ ও ৬৬- এই তিন মিনিটেই গোল গোল শোধ করে ম্যাচের ভাগ্যকে আবারও পেণ্ডুলামের মতো দোদুল্যমান করেছে আফ্রিকান অদম্য সিংহ ক্যামেরুন।

ম্যাচের ২৯ মিনিটে বামপ্রান্ত থেকে নেয়া এক ইনসুইঙ্গার কর্নার সার্বিয়ান পোস্টের সামনের প্রান্তে ক্যামেরুনের এক খেলোয়াড়ের মাথায় লেগে চলে যায় পোস্টের অপর প্রান্তে। ইয়ান চার্লস কাস্তেলেত্তোর জন্য সহজ ট্যাপ ইনে গোল করতে কোনো সমস্যাই হয়নি। ক্যামেরুনের অগ্রগামিতায় শেষ হওয়ার পথে যখন ছিল প্রথমার্ধ; তখনই সার্বিয়া পালটে দেয় সেই চিত্র। অতিরিক্ত সময়ের প্রথ্যম মিনিটে ডুসান তাদিচের ফ্রিকিকে ডি বক্সে অনেকটাই অরক্ষিত স্ট্রাহিনিয়া পাভলোভিচ মাথা ছুঁইয়ে সমতায় ফেরান সার্বিয়াকে।

সেই ছন্দ দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে সার্বিয়াকে ম্যাচে এগিয়ে নেন সের্গেই মিলিঙ্কোভিচ-সাভিচ। অতিরিক্ত সময়ের ৩ মিনিটে এই আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার বাম পায়ের শট নেন ডি বক্সের সামনে থেকে। আর পরাস্ত হন ক্যামেরুনের গোলরক্ষক এপাসি। দারুণভাবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজদের অনুকূলে নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধে মিত্রোভিচের গোলে ৩-১ ব্যবধানে লিড নেয় সার্বিয়া। ম্যাচের নাটকীয়তা এতেই শেষ হয়ে গেল কিনা, এমন প্রশ্ন যখন আসলো, তখনই প্রতিক্রিয়া দেখায় ক্যামেরুন। । এই ম্যাচ হারলে বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে আফ্রিকার অদম্য সিংহদের। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে ভিনসেন্ট আবুবাকারের চিপে সার্বিয়ান গোলরক্ষক পরাস্ত হলেও অপফসাইডে প্রাথমিকভাবে বাতিল হয় সেই গোল। তবে ভিএআরে দেখা যায়, গোলটি অফসাইড হয়নি। নাটকীয়তা শেষে গোলটি পায় বৈধতা।

আর সার্বিয়ার মতোই গোলের ছন্দকে কাজে লাগিয়ে খেলায় সমতা ফেরায় এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিং। ভিনসেন্ট আবুবাকারের বাড়ানো বলকে গোলপোস্টে ঢুকিয়ে ক্যামেরুনের বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখলেন এই বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকার।

এসএইচ-০৮/২৮/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)