অফসাইডে বাতিল ব্রাজিলের গোল

দ্বিতীয়ার্ধে ডেডলক ভাঙল ব্রাজিল। দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ভিনিসিউস জুনিয়রের দুর্দান্ত এক গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। কিন্তু তখনই ভিএআরে চেক করে গোল বাতিল করে দিলেন রেফারি।

গোল পেয়েও পাওয়া হলো না ব্রাজিলের। দারুণ কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ভিনিসিউস জুনিয়র গোল করলেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে গেল গোল। তাতে খেলা থাকল আগের মতোই গোলশূন্য।

সুইসদের বিপক্ষে নেইমারের অভাবটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ব্রাজিল। স্টেডিয়াম -৯৭৪ এ সোমবার  সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিল খেলতে নামে দুটি পরিবর্তন নিয়ে। ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়া নেইমার ও দানিলোর জায়গায় ফ্রেড ও এডার মিলিতাকে নিয়ে নামে ব্রাজিল। আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে ভরা প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি কোন পক্ষই। সহজ সুযোগ মিস করেছেন ভিনিসিউস জুনিয়র।

সেরা তারকার অনুপস্থিতিতে কোচ তিতে কীভাবে দল সাজান তা নিয়ে কৌতূহল নেইমারের না খেলা নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই। আগের ম্যাচে ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে দল সাজানো ব্রাজিল সুইসদের বিপক্ষে শুরু করে ৪-৩-৩ ফর্মেশনে। আগের ম্যাচে দুই সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারের সামনে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে ছিলেন নেইমার।

তবে সুইসদের বিপক্ষে একাদশে ফেরেন ফ্রেড। ক্যাসেমিরো ও লুকাস পাকুয়েতার সঙ্গে মধ্যমাঠ সামলান তিনি।

৪-৩-৩ ফর্মেশনে খেলতে নামা ব্রাজিল শুরুর ১০ মিনিট খেলছে অগোছালো ফুটবল। তবে ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণ করতে থাকে রিচার্লিসন-রাফিনিয়ারা। ম্যাচের শুরুতেই ফ্রি কিক পায় ব্রাজিল। ডি বক্সে দারুণ ক্রস পেলেও জায়গামতো কেউ না থাকায় বলে পা লাগাতে পারেনি কেউই।

১৮ মিনিটে দারুণ সুযোগ পায় ব্রাজিল। বাঁ প্রান্ত থেকে পাকুয়েতা বল ফেলেন ডি বক্সে। রিচার্লিসন পা লাগালেও ক্লিয়ার করে সুইস ডিফেন্ডার।

২৫ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে ব্রাজিলের ডিবক্সে ঢুকে পড়ে সুইজারল্যান্ড। তবে রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় বিপদমুক্ত হয় ব্রাজিল। ২৬ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে দারুণ ক্রস করেন রাফিনিয়া। কিন্তু গোলরক্ষকে একা পেয়েও গায়ে বল মারেন ভিনিসিউস। ৩০ মিনিটে দূরপাল্লার শটে গোলরক্ষকের পরীক্ষা নেন রাফিনিয়া।

প্রথমার্ধের শেষের দিকে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে রাফিনিয়া-ভিনিসিউসরা। কিন্তু সুইস গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় গোলের দেখা পায়নি ব্রাজিল।

এই ম্যাচের প্রথমার্ধে ব্রাজিলের গোল লক্ষ্য করে মাত্র একটি শট নিতে পেরেছে সুইজারল্যান্ড। যা ২০১০ সালে স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচের পর বিশ্বকাপ ম্যাচে তাদের সর্বনিম্ন।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনিটে অল্পের জন্য গোলবঞ্চিত হয় সুইজারল্যান্ড। ডানপ্রান্ত দিয়ে ডিবক্সে বিপজ্জনক বল ফেলেন সুইজারল্যান্ডের এক খেলোয়াড়। গোললাইনের ঠিক সামনে থেকে বল ক্লিয়ার করেন থিয়াগো সিলভা।

৫৬ মিনিটে সুবর্ন সুযোগ মিস করেন রিচার্লিসন। বাঁ প্রান্ত থেকে ভিনিসিউসের দুর্দান্ত ক্রসে পা লাগালেই আসরে তৃতীয় গোল পেতে পারতেন তিনি। পা লাগাতেই পারেননি এই স্ট্রাইকার।

৫৮ মিনিটে ফ্রেডকে তুলে ব্রুনো গুইমিরেসকে নামান তিতে। দুটো পরিবর্তন করেন সুইজারল্যান্ডের কোচও।

পরিবর্তন করে খেলতে নেমে টানা দুই মিনিট ব্রাজিলের রক্ষণের ওপর ঝড় বইয়ে দেয় সুইজারল্যান্ড। তবে তাদের আক্রমণগুলো প্রতিহত হয় ব্রাজিলের রক্ষণদূর্গে।

সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপে কখনো জয় পায়নি ব্রাজিল। এমন পরিসংখ্যানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সেরা তারকা নেইমারের অনুপস্থিতি। সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে অ্যাঙ্কেলে চোট পাওয়ায় এই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেছেন পিএসজি তারকা।

এসএইচ-২২/২৮/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)