আর্জেন্টিনাকে দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি জেতান এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কাতারের মরুর বুকে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে ফ্রান্সের কয়েকটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে নায়ক বনে যান আর্জেন্টাইন এই গোলকিপার।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে যে গ্লাভস জোড়া হাতে দিয়ে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লিখিয়েছিলেন, তা বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ নিজ দেশের হাসপাতালে দান করে দিয়েছেন ৩০ বছর বয়সী মার্টিনেজ।
মার্টিনেজের কাছে গ্লাভস জোড়া অমূল্যই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিষয়টি যখন মানবিক, তখন নিলামে তুলতে কোনো দ্বিধাবোধ করেননি তিনি। তাই ৪৫ হাজার ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৭ লাখ টাকা) বিক্রি করেছেন আর্জেন্টাইন এই গোলরক্ষক।
গত শুক্রবার অনলাইনে মার্টিনেজের গ্লাভস জোড়ার নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ইংল্যান্ড থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে নিলামে অংশ নেন অ্যাস্টন ভিলার এই গোলকিপার।
এরপর নিলাম থেকে প্রাপ্ত অর্থ আর্জেন্টিনার গারাহান হাসপাতালের ক্যান্সার ওয়ার্ডে দান করে দেন মার্টিনেজ। এই হাসপাতালটি মূলত দেশটির শিশুদের জন্য নিয়োজিত প্রধান হাসপাতাল।
এই প্রসঙ্গে মার্টিনেজ জানান, ‘যখন আমাকে বিশ্বকাপের গ্লাভসটা দান করতে প্রস্তাব দেন, আমি একদম দ্বিধা করিনি। কারণ এটা বাচ্চাদের জন্য। বিশ্বকাপ ফাইনাল প্রতিদিন খেলা যায় না। এটা বিশেষ। কিন্তু বাড়িতে ফ্রেম করে বাঁধিয়ে রাখার চেয়ে এটা শিশুদের কাজে লাগলে সেটা অনেক বেশি কাজের হয়।’
গত ১৮ ডিসেম্বর লুসাইল স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচে অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত ফ্রান্সের বিপক্ষে ৩-৩ ব্যবধানে সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা। তবে ফল নির্ধারণী টাইব্রেকারে মার্টিনেজের অসাধারণ দক্ষতায় ৪-২ ব্যবধানে জয়ে শিরোপায় চুমু আঁকে আর্জেন্টিনা।
বিশ্বকাপের পুরো আসরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে বিশ্বকাপের গোল্ডেন গ্লাভস জিতে নেন মার্টিনেজ। এরপর বেলজিয়ান থিবো কোর্তয়া ও মরক্কোর ইয়াসিন বুনোকে পাশ কাটিয়ে ফিফার বর্ষসেরা গোলকিপারের পুরস্কারও নিজের করে নেন এই তারকা।
এসএ-২/১১/২৩ (স্পোর্টস ডেস্ক)