কিউইদের বিপক্ষে বড় জয়ে সিরিজ শুরু পাকিস্তানের

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে বিশ্রামে ছিলেন বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন আফ্রিদিরা। শারজায় সেই সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল পাকিস্তান। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আবারও পূর্ণশক্তির দল নিয়ে মাঠে নেমেছে তারা। আর প্রথম ম্যাচেই কিউইদের গুড়িয়ে দিয়েছে বাবর আজমের দল।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাতে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার ১ বল আগেই অলআউট হয়ে ১৮২ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।

জবাবে রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানি বোলারদের বোলিং তোপে মাত্র ৯৪ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে ৮৮ রানের বড় ব্যবধানে জয়ে সিরিজ শুরু করেছে ২০০৯ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। পাওয়ার প্লেতেই দুই ওপেনার রিজওয়ান (৮) ও বাবর (৯) বিদায় নেন। এই দুই ব্যাটারকেই সাজঘরে ফেরান নিউজিল্যান্ডের পেসার অ্যাডাম মিলনে। এরপর তৃতীয় উইকেটে ফখর জামান ও সাইম আইয়ুবের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

তবে ১২তম ওভারে দলীয় ১০৯ রানের মাথায় রানআউটে ভেঙে যায় তাদের ৭৯ রানের জুটি। ২৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কার ফুলঝুরিতে ৪৭ রান করেন সাইম। এ সময় ম্যাট হেনরি ও ইশ সোধির দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২২ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সাইমের মতো ফখরও ৪৭ রান করে বিদায় নেন।

এরপর ফাহিম আশরাফের ২২, ইমাদ ওয়াসিমের ১৬ ও হ্যারিস রউফের অপরাজিত ১১ রানের পরও শেষ ৪ উইকেট হারায় ২৩ রানের ব্যবধানে। এতে নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার ১ বল থাকতেই অলআউট হওয়া পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮২ রান।

বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডের সেরা বোলার হেনরি ৩২ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। মিলনে ও বেন লিস্টার ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়া নিশাম-সোদি ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড। এরপরও অধিনায়ক ল্যাথাম বিপর্যয় কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার ২৪ বলে ২০ রানের কচ্ছপ গতির ইনিংস টি–টোয়েন্টির দাবি মেটাতে পারেনি।

একপ্রান্তে মার্ক চ্যাপম্যান ছাড়া সবাই যেন আসা–যাওয়ার মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফের বোলিং তোপে কিউই ব্যাটারদের কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। চ্যাপমান ২৭ বলে ৩৪ রান করে বিদায় নেওয়ার পর ১৫.৩ ওভারে মাত্র ৯৪ অলআউট হয়ে যায় কিউইরা।

স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট পেয়েছেন হারিস রউফ। এছাড়া ইমাদ ওয়াসিম ২টি এবং আফ্রিদি, জামান, ফাহিম আশরাফ ও শাদাব নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

এই ম্যাচ জয়ে পাঁচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাবরের দল। একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আজ রাতে মুখোমুখি হবে দুই দল।

এসএ-০৬/১৫/০৪ (স্পোর্টস ডেস্ক)