তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৩১ রান করেছে আফগানিস্তান। জিততে হলে ইতিহাস গড়তে হবে টাইগারদের। ওয়ানডে ইতিহাসে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ৩২২ রান তাড়া করে জয় পেয়েছে। ২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কীর্তি করেছিল টাইগাররা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শনিবার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩১ রান করেছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশি বোলারদের রীতিমতো তুলোধুনো করছিলেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। কোনো উইকেটই ফেলতে পারছিল না টাইগাররা। আক্রমণাত্মক মেজাজে গুরবাজ তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৪৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর গুরবাজ সেঞ্চুরি করেন ১০০ বলে। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি তার চতুর্থ সেঞ্চুরি। এর আগে আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি করে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
অবশেষে সাকিবের হাত ধরে উইকেট পায় লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দল। সাকিব ফেরান রহমানউল্লাহ গুরবাজকে। বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের অফ স্টাম্প লাইনে পিচ করা বলটি হুট করেই ভেতরে ঢুকে যায়। চেষ্টা করলেও গুরবাজ তা ব্যাটে লাগাতে পারেননি। আম্পায়ার সরাসরি আউট দেন।
১৪৫ রান করে আউট হন আফগান ওপেনার। ১৪৫ রান করতে ১২৫ বলে ১৩টি চার ও ৮টি ছয় হাঁকিয়েছেন গুরবাজ। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটা তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৭ রান করেছিলেন তিনি। সাকিবের পর উইকেট পান এবাদত হোসেনও। এ পেসার ফিরিয়েছেন রহমত শাহকে। ৫ বলে ২ রান করে বিদায় নেন রহমত।
এবাদত উইকেট পাওয়ার পরের ওভারেই লিটন বল তুলে দেন মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। এ অলরাউন্ডার ইনিংসের ৩৯তম ওভারের পঞ্চম বলে শহীদিকে শিকারে পরিণত করেন। আউট হওয়ার আগে শহীদি করেন ২ রান।
কিছু সময়ের ব্যবধানে টাইগাররা ৩ উইকেট তুলে নেয়ায় তাৎক্ষণিক রানে গতি কমে যায় আফগানিস্তানের। ইব্রাহিম ও নাজিবউল্লাহ জাদরানের জুটিতে আবার ইনিংস গড়ার কাজে লাগে আফগানরা। কিন্তু মিরাজ নাজিবউল্লাহকে ফেরালে আবার লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশ। ইব্রাহিম ঠিক ১০০ রান করার পর ফিরে যান মুস্তাফিজুর রহমানের ওভারে। ১১৯ বলে ৯টি চার ও একটি ছয় হাঁকান এ ওপেনার।
রশিদ খান ৫ রান করে সাকিবের বলে স্টাম্পিং হন।
এসএইচ-০৫/০৮/২৩ (স্পোর্টস ডেস্ক)