টানা দুই হারে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। রোববার অনুশীলন ছিল না। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে টি ২০র চার ক্রিকেটার নিয়ে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আসেন। সোমবার থেকেই বৃষ্টি। মাঠেই যেতে পারেনি বাংলাদেশ দল।
সিরিজ হারানোর সঙ্গে তামিম ইকবালের অবসর-কাণ্ডের ঘটনায় টিম ম্যানেজমেন্ট যেন খোলসবন্দি। সহকারী কোচ নিক পোথাস বলেন, ‘আমরা পেশাদার খেলোয়াড়দের নিয়ে কথা বলছি। ছেলেরা পেশাদার। ওদের খুব বেশি তাতিয়ে দেওয়ার দরকার নেই। দুর্দান্ত একদল খেলোয়াড় ওরা।’
২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আট ম্যাচে আফগান স্পিনাররা বাংলাদেশের ৩১ উইকেট নিয়েছেন। যে কোনো উইকেটে তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিং সব সময় নড়বড়ে। হোয়াইওয়াশ এড়াতে হলে আফগান স্পিনারদের বিপক্ষে অবশ্যই রান করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশ দলে সেই আত্মবিশ্বাস এখন শূন্যের কোঠায়। টপঅর্ডারে তামিমের অভাব টের পাওয়া গেছে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। লিটন দাস রানে নেই। উলটো তার ঘারে অধিনায়কত্বের চাপ। নাজমুল হোসেন দুই ম্যাচে রান পাননি। তাওহিদ শেষ ম্যাচে ব্যর্থ। সাকিব আল হাসান ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন, আফিফের ব্যাটিং হতাশাজনক। শেষ ম্যাচে ফিফটি করে মুশফিকুর রহিম ভালো কিছুর আভাস দিয়েছেন। সম্মান বাঁচাতে আজ পুরো ব্যাটিং ইউনিটকে জ্বলে উঠতে হবে।
এই সিরিজ দিয়ে রেটিং পয়েন্ট একশর ওপরে নিয়ে গিয়ে র্যাংকিংয়ে পাঁচে যাওয়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। অথচ, দুই হারে এক ধাপ পিছিয়ে আফগানিস্তানের নিচে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আজ হারলেই বাংলাদেশ নেমে যাবে আটে, সাতে উঠবে আফগানরা। কাল চট্টগ্রামে মেঘ-বৃষ্টিতে কেটেছে। আজও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের চিত্রও তাই। গুমোট ভাব কাটানোর জন্য ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সই হতে পারে একমাত্র উপায়।
এসএ-০৪/১১/২৩ (স্পোর্টস ডেস্ক)