হার দিয়ে শুরু করা ইমার্জিং এশিয়া কাপে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। প্রথম দুই ম্যাচে এক জয় ও এক হারে সেমির সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছিল টাইগাররা। তবে নকআউট পর্বে পা রাখতে আজ আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের। এমন গুরুত্বপূর্ণ সমীকরণ মাথায় রেখে আগে ব্যাটিং করতে নেমে জয়ের সেঞ্চুরিতে শক্ত ভীত পায় টাইগাররা। বোলিংয়ে পেসাররা সুবিধা করতে না পারলেও স্পিনারদের কল্যাণে জয় পেয়েছে সাইফ হাসানের দল। তাতে সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০০ রান করেন মাহমুদুল হাসান জয়। জবাবে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রানে থামে আফগানিস্তান। ফলে ২১ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
আজ (মঙ্গলবার) কলম্বোর পিসারা ওভালে ৩০৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৬ রানের প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৯০ রানের জুটি গড়েন রিয়াজ হাসান ও নূর আহমেদ জাদরান। ৫৭ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৪৪ রান করা জাদরানকে আউট করে জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। এরপর ৭৮ রান করা রিয়াজকে ফেরান সৌম্য সরকার। আর তাতেই ম্যাচ কিছুটা বাংলাদেশের পক্ষে চলে আসে। তবে হাল ছেড়ে দেননি আফগান ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছেন তারা। কিন্তু শেষের দিকে দারুণ বোলিং করে আফগান ব্যাটারদের বাউন্ডারি মারতে দেননি টাইগার বোলাররা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন তানজিম হাসান সাকিব। এছড়া দুটি করে উইকেট নেন সৌম্য সরকার ও রাকিবুল হাসান। একটি উইকেট নিয়েছেন পেসার রিপন মন্ডল।
এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন সাইফ হাসান। তবে শুরুটা ভালো হয়নি টিম বাংলাদেশের। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে যায় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। এরপরই জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নেন জয়-জাকির জুটি। জাকিরের বিদায়ের পর জয়ের সঙ্গে হাল ধরেন অভিজ্ঞ সৌম্য সরকার। শেষ দিকে ঝোড়ো ইনিংসে দলীয় সংগ্রহ তিনশ পার করেন শেখ মেহেদী।
ব্যক্তিগত মাত্র ৯ রানে ওপেনার তানজীদ হাসান তামিমের বিদায়ের পর দ্রুত বিদায় নেন আরেক ওপেনার নাঈম শেখও। ব্যক্তিগত ১৮ রানের মাথায় এই বাঁহাতি ওপেনার প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। এরপরই দলের অধিনায়ক সাইফ হাসানও এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৪ রানে। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকেই সাজঘরে পাঠান আফগান পেসার মোহাম্মদ সালিম।
ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে জয়-জাকিরের সময়োপযুগী জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। আফগান বোলার নাভিদের বলে যুবাইদ আকবরীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৭২ বলে মহামূল্যবান ৬২ রান করেছেন জাকির।
এরপর সৌম্য সরকারও ব্যাট করতে নেমে জয়ের সঙ্গে দেখেশুনে খেলছিলেন। তবে এদিন ফিফটি মিসের আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে অভিজ্ঞ এই টাইগার ব্যাটারকে। ইব্রাহিমের বলে শরাফউদ্দিন আশরাফের হাতে ধরা পড়ার আগে ৪২ বলে ৪৮ করেছেন সৌম্য।
সেঞ্চুরিয়ান জয় সাজঘরে ফিরেছেন মোহাম্মদ সালিমের শিকার হয়ে। এরপর শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে ১৯ বলে ৩৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন শেখ মেহেদী। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ সালিম।
এসএ-১০/১৮/২৩ (স্পোর্টস ডেস্ক)