চোখের সামনে যখন লিওনেল মেসির মতো মহাতারকা থাকবেন, তখন আবেগ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন যে কারোর জন্যই। তেমনটাই করে ফেলেন ক্রিস্টিয়ান সালামাঞ্চা নামক এক কলম্বিয়ান নাগরিক। মেসিকে সামনে পেয়ে তার অটোগ্রাফ নিতে গিয়ে চাকুরী হারিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতে সামান্য আক্ষেপও নেই তার।
মেসি ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই পুরো যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল যেন উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। তাকে এক নজর দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন সমর্থকরা। একটি টিকিটের জন্য কোটি টাকাও গুনেছেন অনেকে। সেখানে চোখের সামনে মেসিকে দেখে আবেগ কীভাবে আটকান সেই কলম্বিয়ান নাগরিক।
ঘটনাটি ঘটেছে ইন্টার মায়ামির মাঠ ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে। লিগস কাপে অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে ম্যাচের দিন স্টেডিয়াম এলাকায় ক্লিনারের কাজ করছিলেন সালামাঞ্চা। সেখানেই মেসিকে পেয়ে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি এই কলম্বিয়ান। যার কারণে মুহূর্তের ব্যবধানেই চাকুরী খোয়াতে হয় তাকে।
সেই ঘটনাটির বর্ণনা দিতে গিয়ে লা ন্যাসিওনকে সালামাঞ্চা বলেছেন, ‘যেখানে বাস পার্ক করে, সেখানে আমাকে বাথরুম পরিষ্কার করতে হয়েছিল। সৌভাগ্যবশত, আমি যখন সেখানে গিয়েছিলাম, তখন বাসটা এসেছিল এবং সব খেলোয়াড় বেরিয়ে আসছিলেন। সবার শেষেই বেরিয়ে আসেন মেসি।
‘তাকে চিৎকার করে বললাম, “এই যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন!” শুনে তিনি ফিরে তাকালেন। আমি ওপরের ইউনিফর্মটি ওপরে তুলে ধরি, যার নিচে আর্জেন্টিনার জার্সি ছিল এবং আমার সঙ্গে একটা মার্কারও ছিল। তিনি আমাকে অটোগ্রাফ দিলেন,’ বলেন সালামাঞ্চা।
এ ঘটনার পর কী হয়েছিল তাও জানান এই কলম্বিয়ান, ‘তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপত্তারক্ষীরা সেখানে চলে এলেন। তাঁরা আমাকে বাইরে নিয়ে গেলেন এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করলেন। কিন্তু এর প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান ছিল।’
শাস্তির তীব্রতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুললেও ইন্টার মায়ামির নীতি সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত ছিলেন সেই কলম্বিয়ান। ক্লাবের কর্মী হোক কিংবা বাইরের কোনো কোম্পানির নিয়োগ করা কর্মী হোক সবাইকে পেশাদারিত্ব বিজায় রাখতে বলা হয়। ছবি বা অটোগ্রাফের জন্য ফুটবলার বা কাউকে বিরক্ত করা যাবে না। কিন্তু মেসিকে দেখে এই নিয়ম ভুলে যান সালামাঞ্চা।
এসএইচ-০৫/০৫/২৩ (স্পো্টস ডেস্ক)