লিটন-মুশফিককে হারিয়ে বড় পরাজয়ের পথে বাংলাদেশ

প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ৩৬৪ রানের পাহাড়সম স্কোর গড়ার পরই বাংলাদেশের ম্যাচ জয়ের আশা অনেকটা স্তিমিত হয়ে যায়। যদিও লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ক্ষীণ আশা হয়তো দেখছিলেন বাংলাদেশের সমর্থকরা। তবে হাফ সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে রূপদান করার আগেই আউট হয়ে গেছেন তারা। ফলে বড় পরাজয়ের মুখে পড়েছে টাইগাররা।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৫ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করেছে বাংলাদেশ। উইকেটে আছেন তাওহীদ হৃদয় এবং শেখ মেহেদী।

৩৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে রিস টপলির পর পর দুই বলে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ১ রানে থাকা তানজিদ হাসান ক্যাচ দেন স্লিপে থাকা জনি বেয়ারস্টোকে। পঞ্চম বলে খোঁচা দেওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত শূন্য রানে কাভারে থাকা লিয়াম লিভিংস্টোনের হাতে ক্যাচ দেন। ষষ্ঠ ওভারে আবারও সেই টপলির আঘাত। তার বল বুঝতে না পেরে ব্যক্তিগত ১ রানে বোল্ড হন সাকিব আল হাসান। এরপর ক্রিস ওকসের বলে ব্যক্তিগত ৮ রানে উইকেটরক্ষক জস বাটলারকে ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে অন্যপ্রান্ত আগলে রেখে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন দাস। মাত্র ৩৮ বলে ৭টি চার ও এক ছক্কায় ফিফটির দেখা পান তিনি।

১২১ রানে লিটন (৭৬) ফিরলে ভাঙে মুশফিকের সঙ্গে তার ৭২ রানের জুটি। ষষ্ঠ উইকেটে হৃদয়ের সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। তবে আবারও সেই টপলির আঘাত। হাফ সেঞ্চুরি (৫১) করার পরপরই ফেরেন তিনি। এরপর জুটি বাধেন হৃদয় ও মেহেদী।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করা ইংল্যান্ডের শুরুটা দুর্দান্ত হয়। বাংলাদেশ বোলারদের হতাশ করে বিনা উইকেটে তারা ১১৫ রান তোলে। অবশেষে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দলীয় ১৮তম ওভারে তিনি বোল্ড করেন জনি বেয়ারস্টোকে। এই ওপেনার ৫৯ বলে ৮টি চারে ৫২ রান করেন।

তবে ডেভিড মালান দমে যাননি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তিনি জো রুটের সঙ্গে ১১৭ বলে ১৫১ রান তোলেন। তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের ভীত পায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। অবশেষে মালানকে ফেরান মেহেদী হাসান। ৩৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাঁহাতিকে বোল্ড করেন এই স্পিনার। ৯১ বলে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া এই তারকা শেষ পর্যন্ত ১০৭ বলে ১৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় আক্রমণাত্মক ১৪০ রান করেন।নতুন ব্যাটার জস বাটলারকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি শরিফুল ইসলাম। ৪০তম ওভারে ১০ বলে ২০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলা ইংলিশ অধিনায়কের ব্যাটে বল লেগে স্টাম্পে আঘাত করে। নিজের পরের ওভারের শেষ দুই বলে জোড়া আঘাত করেন এই বাঁহাতি পেসার। আক্রমণাত্কম ৬৮ বলে ৮টি চার ও একটি ছক্কায় ৮২ রান করা রুটকে প্রথমে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান। আর পরের বলে লিয়াম লিভিংস্টোনকে শূন্য রানে সরাসরি বোল্ড করেন তিনি। তার বল এই ব্যাটার বুঝতেই পারেননি।

পরের তিনটি উইকেট দখল করেন মেহেদী। ১৫ বলে ২০ রান করা তরুণ ব্যাটার হ্যারি ব্রুককে লিটন দাসের ক্যাচ বানান। পরের উইকেটে আসা স্যাম কারানকে সজোড়ে বল মারলেও দারুণ এক ক্যাচে তাকে মাঠ ছাড়া করান নাজমুল হোসেন শান্ত। শেষের ব্যাটার আদিল রশিদকেও মেহেদী ফেরান। এবার তার তুলে মারা শট তাওহীদ হৃদয় ধরে আবার ছুড়ে মারে, সেখান থেকে শান্ত ফের ক্যাচ নেন। ইংল্যান্ডের নবম উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। ১৪ রান করা ক্রিস ওকসকে মেহেদীর ক্যাচেই ফেরান এই পেসার।

বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট পান মেহেদী হাসান। এছাড়া শরিফুল ৩টি উইকেট দখল করেন।।

এসএ-০৯/১০/১০(স্পোর্টস ডেস্ক)