জোড়া সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের সামনে লঙ্কানদের রানবন্যা

বিশ্বকাপ যাত্রায় প্রথম ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নাস্তানাবুদ হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেই ম্যাচে প্রোটিয়ারা বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪২৮ রান সংগ্রহ করে। এরপর তিনশ পেরোনো ইনিংস খেলে লঙ্কানরাও। দ্বিতীয় ম্যাচে দাসুন শানাকার দল আক্রমণের লক্ষ্য বানিয়েছে পাকিস্তানকে। তাদের বিপক্ষে কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমার জোড়া সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ওভার শেষে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩৪৪ রান।

হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে আজ (মঙ্গলবার) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা। টস জিতে এদিন আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকার দল। এরপর তাদের শুরুটা সুখকর হয়নি। চোটের অস্বস্তি নিয়ে ওপেনিংয়ে নামা কুশল পেরেরা দলীয় ৫ রানেই ফিরেছেন। হাসান আলীর বলে তিনি কিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের তালুবন্দি হয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই।

এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি লঙ্কানদের। তরুণ ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার সঙ্গে কুশল মেন্ডিস ১০২ রানের জুটি গড়েন। মেন্ডিস শুরু থেকেই ছিলেন খুনে মেজাজে, ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন নিশাঙ্কা। সে ধারাবাহিকতায় মাত্র ১৭ ওভারেই দলীয় একশ পেরোয় লঙ্কানদের ইনিংস। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করে শাদাব খানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আব্দুল্লাহ শফিকের হাতে ক্যাচ দেন নিশাঙ্কা। এর আগে ৬১ বলের ইনিংসে তিনি ৭টি চার ও এক ছক্কায় ৫১ রান করেন।

সাম্প্রতি সময়ে দারুণ ফর্মে আছেন মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। এদিনও এই দুই ব্যাটার নাভিশ্বাস তুলেছেন পাকিস্তানি বোলারদের। তাদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের বিপরীতে ভুলে যাওয়ার মতো বোলিং করেছেন শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফরা। তারা লঙ্কানদের দ্রুতগতির রানে বিঘ্ন ঘটাতে পারেননি। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন মেন্ডিস, সেঞ্চুরি পেয়েছেন সামারাবিক্রমাও।

হাসান আলীর বলে ইমাম-উল হকের অসাধারণ এক ক্যাচে আউট হওয়ার আগে মেন্ডিস করেছেন ১২২ রান। ৭৭ বলের ইনিংসে মেরেছেন ১৪টি চার ও ৬টি ছয়। আউট হওয়ার আগে সামারাবিক্রমার সঙ্গেও শতরানের জুটি গড়েছেন মেন্ডিস। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা দুজনে তুলেছেন ৬৯ বলে ১১১ রান। মেন্ডিস-ই ছিলেন বেশি আক্রমণাত্মক। এই জুটিতে তার অবদান ৩৭ বলে ৭২ রান। তার পেছনে অবশ্য পাকিস্তানি ফিল্ডার ইমামের অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। কারণ মাত্র ১৮ রানে থাকাকালেই তিনি মেন্ডিসের ক্যাচ হাতছাড়া করেছিলেন।

পাকিস্তানের হয়ে খরুচে বোলিং করলেও ঠিকই চার উইকেট তুলে নিয়েছেন হাসান আলী। তার বলে সামারাবিক্রমা আউট হওয়ার আগে ৮৯ বলে ১০৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। তিনি মেরেছেন ১১টি চার ও দুটি ছক্কার বাউন্ডারি। শেষদিকে লঙ্কানদের সংগ্রহ আরও বাড়তে পারত। কিন্তু শেষ তিন ওভারেই তারা তিন উইকেট হারায়।

হাসান আলী সর্বোচ্চ ৪ উইকেট এবং হারিস রউফ নেন ২ উইকেট। এছাড়া শাহিন আফ্রিদি, মোহাম্মদ নেওয়াজ ও শাদাব খান একটি করে শিকার করেন।

এসএ-১০/১০/১০(স্পোর্টস ডেস্ক)