সুজনের বিস্ফোরক মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন হাথুরু

ভালো অবস্থানে নেই বাংলাদেশের ক্রিকেট। দলের খারাপ পারফর্মন্যান্স তো আছেই, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ব্যক্তিগত পর্যায়ের অসন্তোষ এবং অভিযোগ। শুক্রবার দিল্লির টিম হোটেলে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। সে সময় দলে তার ভুমিকা রাখা নিয়ে করেছিলেন বিষ্ফোরক মন্তব্য। টিম ডিরেক্টরের পদ নিয়ে ভারতে এসেও নাকি দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে, কিংবা একাদশ গঠন বা টিম মিটিংয়ে প্রভাব রাখার সুযোগ পাচ্ছেন না সুজন।

যার ফলশ্রুতিতে সুজন সেদিন গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। সাবেক অধিনায়কের এমন মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কেন তার এমন মন্তব্য এ বিষয়ে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কাছে আজ সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি সুজনের সাক্ষাৎকার দেখেছি। কেন এমন বলেছে জানা নেই আমার। এটা তার ব্যক্তিগত মতামত।’

এর আগে সুজন সেই সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বিসিবি থেকে আমাকে যে ভূমিকা দেওয়া হয়েছে সেটাই করার চেষ্টা করছি। প্রতিটা ট্যুরেই একটা বাড়তি দায়িত্ব থাকতো যে আমি দল নির্বাচনের অংশ থাকতাম, যেটা এবার নেই। আমার এখানে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। আমাকে বলে দেওয়া হয়েছে আমি কতটুকু পারব, কতটুকু পারব না। এখানে ক্রিকেটিং রুল আমার না।’

‘খুশি না…আমি তো এভাবে থাকতেই চাই না। যেহেতু আমার রক্তেই ক্রিকেট। কোচিং করি, এটা আমার পেশা। টেকনিক্যাল মানুষ হিসেবে গত ট্যুরগুলাতে যে ভূমিকা ছিল। এসব থেকে আমি দূরেই আছি। আমি উপভোগ করছি কিনা? না, অবশ্যই না। একটা ট্যুরে আমি অভিভাবক হিসেবে থাকব, নিয়ম-শৃঙ্খলা বা অন্য বিষয় দেখব। সেটা তো আমার কাজ না। সেটাও আমি দেখতাম, তবে আমি মূলত ক্রিকেটটা দেখতাম। যেটা হয়েছে গেছে, এখন চিন্তা করে লাভ নেই। সামনের দুইটা ম্যাচ আছে সেদিকে আমাদের তাকিয়ে থাকতে হবে।’-যোগ করেন সুজন।

তবে সুজনের ইস্যুতে মন্তব্য না করলেও বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতার দায়ভার এদিন নিজের কাঁধেই নিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। দিল্লিতে ম্যাচের আগের দিন হাথুরু বলছিলেন, ‘দলের এই অবস্থার দায় আমারও। আমরা দর্শকদের হতাশ করেছি সঙ্গে আমরাও হতাশ হয়েছি।’

তার মন্তব্য, ‘আমি এই দলের বাকিদের মতোই দায় নিচ্ছি। আমরা সমর্থক ও নিজেদেরকে হতাশ করেছি। সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারিনি কিন্তু প্রথম ম্যাচ থেকে এখন এসে কিছুই বদলে যায়নি। কেবল আমরা যা শুনছি, সেটা বদলেছে। স্কিল কোথাও চলে যায়নি।’

এসএ-০৫/১১/০৫ (স্পোর্টস ডেস্ক)