বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে কানপুর টেস্টের প্রথম দিনের খেলা। বৃষ্টি আর আলোকস্বল্পতায় খেলা শেষ হয়েছে কেবল ৩৫ ওভারে। তবে এদিন খেলার চেয়ে খেলার বাইরের ঘটনাই দুই দেশের গণমাধ্যমে এলো বেশি। বাংলাদেশের ভক্ত টাইগার রবি নিজের ওপর হামলার অভিযোগ করেছেন। আবার স্টেডিয়ামের বাইরে ডানপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ করেছে বাংলাদেশ বিরোধী বিক্ষোভ। অভিযোগ আছে, সেখানে পোড়ানো হয়েছে বাংলাদেশের পতাকা।
এরমাঝে টাইগার রবির ওপর হামলার ঘটনা প্রাধান্য পেয়েছে বাংলাদেশ ভারত দুই দেশের গণমাধ্যমেই। ব্যাপক আকারে হয়েছে চর্চা। ভারতের নিন্দা করেও হয়েছে টুইটারে প্রতিবাদ। দেশটির টুইটার ট্রেন্ডেও আছে টাইগার রবির নাম। যদিও ঘণ্টাখানেক পর জানা গেল একেবারেই ভিন্ন এক তথ্য।
দুপুরে ভারতীয় সমর্থকদের হামলার অভিযোগ আনেন রবি। এরপরেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সেসময় তিনি জানিয়েছিলেন, তাকে পাঁজরে এবং কোমরে আঘাত করা হয়েছে। হাসপাতালে আঘাত পর্যালোচনা করতে সিটি-স্ক্যান এবং এক্স-রে পরীক্ষা করা হয়। সেখান থেকে মেলেনি আঘাতের কোনো চিহ্ন। এরপরেই জানা যায়, আঘাত নয়, মূলত পানিশূন্যতার ক্লান্তিতেই অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
এরইমাঝে নতুন তথ্য দিয়েছেন কানপুরের কল্যাণপুর এলাকার এসিপি অভিষেক পান্ডে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘মারামারির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাকে কোনো সমর্থক আঘাত করেনি। পুলিশ এবং মেডিকেল সাপোর্ট টিম তাকে জরুরী ভিত্তিতে সহায়তা করে এবং হাসপাতালে নিয়ে যায়। সে অনেক আগের থেকে ভালো অনুভব করছে।’
এমনকি হাসপাতাল থেকে টাইগার রবি নিজেও সুর পাল্টালেন বিকেলের পর। ভারতীয় গণমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড রবিকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‘আমার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছিল। পুলিশ আমাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে, চিকিৎসার পর আমি অনেক ভালো বোধ করছি। আমার নাম রবি। আমি বাংলাদেশের খুলনা জেলার বাসিন্দা। আমার বাবার নাম হাসান আলী।’
এর আগে চেন্নাই টেস্টেও টাইগার রবিকে হেনস্তা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ আসে। যদিও সেবারে চেন্নাই পুলিশ এই অভিযোগ মিথ্যে বলে জানিয়েছিল।
এসএ-০৭/০৯/২৪(স্পোর্টস ডেস্ক)