বাংলাদেশি পেসারদের তোপের মুখে একশর আগেই ৫ উইকেট হারিয়েছিল আফগানিস্তান। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন মোহাম্মদ নবি ও হাশমতউল্লাহ শাহিদি। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মিলে একশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়েন। দুজনেই পেয়েছেন ব্যক্তিগত ফিফটির দেখা। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে লড়াই করার পুঁজি পেয়েছে আফগানিস্তান।
বুধবার (৬ নভেম্বর) টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৪ বলে ২৩৫ রানে অলআউট হয়েছে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছেন নবি। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন শাহিদি। বাংলাদেশের হয়ে ৪টি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটিকে বেশি দূর এগোতে দেননি তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ৫ রান করা রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ফিরিয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। এর আগেও বেশ কয়েকবার তাসকিনের বলে আউট হয়েছেন এই ওপেনার। তাই স্বাভাবিকভাবেই ডানহাতি এই পেসারকে খেলতে মানসিকভাবে কিছুটা হলেও পিছিয়ে থাকেন গুরবাজ।
তাসকিনের মতোই নিজের প্রথম ওভার করতে এসে উইকেটের দেখা পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৮ম ওভারের দ্বিতীয় বলটি অফ স্টাম্পের ওপর করেছিলেন মুস্তাফিজ। আউট সুইং করে বের হয়ে যাওয়া বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন রহমত শাহ। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ রানের বেশি করতে পারেননি।
নিজের পরের ওভারে ফিরে আবারও ব্রেকথ্রু দিয়েছেন মুস্তাফিজ। এবার তার শিকার সেদিকুল্লাহ অটল। আলোচিত এই ওপেনারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেছেন তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ইনসুইং করে ভেতরে আসা বল ব্যাটে খেলতে পারেননি অটল, সরাসরি তার পায়ে আঘাত হানে। সাজঘরে ফেরার আগে ৩০ বলে ২১ রান করেন অভিষিক্ত এই ওপেনার।
দুই বল পর আজমতউল্লাহ ওমরজাইকেও ফিরিয়েছন মুস্তাফিজ। মিডল স্টাম্পের ওপর করা খানিকটা খাটো লেংথের বল আউট সুইং করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কাট করতে যান আজমতউল্লাহ। কিন্তু টাইমিং হয়নি, তার ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল চলে যায় মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ৩ বল খেলে ডাক খেয়েছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।
৩৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আফগানদের হাল ধরেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি ও গুলবাদিন নাইব। অভিজ্ঞ দুই ব্যাটারের ব্যাটে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল আফগানিস্তান। তবে এই জুটিকেও বড় হতে দেননি তাসকিন আহমেদ।
ইনিংসের ২০তম ওভারের শেষ বলটি খাটো লেংথে করেছিলেন তাসকিন। ব্যাটে ঠিকমতো খেলতে পারেননি গুলবদিন নাইব। মিডউইকেটে তানজিদ তামিমকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩২ বলে ২২ রান করে। গুলবাদিন ফেরায় ভাঙে ৩৬ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি।
এরপর দুর্দান্ত ব্যাটিং করছেন নবি ও শাহিদি। নবি ৫২ বলে ফিফটি করেন। আর শাহিদি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ৮৭ বলে। ৫২ রান করে শাহিদি ফিরলে ভাঙে ১০৬ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি। এরপর রাশিদ খান দ্রুতই ফিরেছেন। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০ রান।
এক প্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা নবি এগোচ্ছিলেন ব্যক্তিগত সেঞ্চুরির দিকে। তবে রানের গতি বাড়াতে গিয়ে আউট হয়েছেন তিনি। ৮৪ রান করা এই ব্যাটারকে তানজিদ তামিমের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফিরিয়েছেন তাসকিন। শেষদিকে নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে অপরাজিত ২৮ রান করলে দুইশ পেরোনো সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান।
এসএ-০৬/১১/২৪(স্পোর্টস ডেস্ক)