জাকের-নাসুমের ক্যামিওতে বাংলাদেশের আড়াইশ পার

১০ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে বেশ একটা চাপেই পড়েছিল বাংলাদেশের ইনিংস। ১৭৪ রানে ৩ উইকেট থেকে ১৮৪ রানে ৬ উইকেট হতে সময় লাগেনি। নানগালিয়ে খারোতের তিন আঘাতে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের মিডলঅর্ডার। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ৭৬ রানের পরেও সেই সময় কিছুটা বিবর্ণই ছিল বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড। এরপরেই আসে জাকের আলী অনিক এবং নাসুম আহমেদের দুই ক্যামিও।

এক চার এবং দুই ছক্কায় নাসুম আহমেদ করেন ২৪ বলে ২৫ রান। আল্লাহ গাজানফারের ধীরগতির বলে যখন ফিরেছেন নাসুম, দলের স্কোর তখন ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩০। তবে ৭ম উইকেট জুটিতে ততক্ষণে ৪১ বলে ৪৬ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেটাই শেষ পর্যন্ত হয়ে থাকল বাংলাদেশ ইনিংসের টার্নিং পয়েন্ট। জাকের আলী অনিক শেষদিকে চেষ্টা করছেন। সেই চেষ্টার সুবাদেই বাংলাদেশ পার করল ২৫০ রানের ল্যান্ডমার্ক।

জাকেরের ব্যাট থেকে এসেছে কার্যকরী ৩৭ রান। ৩ ছক্কা আর ১ চারে গড়া তার এই ইনিংসের সুবাদেই বাংলাদেশের স্কোর হলো ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান। সিরিজ জয় করতে আফগানদের সামনে টার্গেট ২৫৩। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রানের স্কোরটা এসেছে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে।

শান্তর ফিফটি, ফিরলেন মিরাজআফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশ কিছুটা সাবধানীই ছিল বলতে গেলে। তানজিদ হাসান তামিম ২২ রানে ফিরে গেলেও সৌম্য এবং শান্ত গাজানফার-রশিদদের দেখেশুনেই ক্রিজে সময় পার করেছেন। ইনিংসের প্রথম ৫০ রান করতে তারা খেলেছে ৫০ বল। সেখান থেকে ১০০ তে যেতে লেগেছে ৬৪ বল। তবে মিরাজ-শান্তদের ব্যাটে ভর করে পরের ৫০ করতে বাংলাদেশ খরচ করেছে ৮০ বল। তবে ধীরগতির এই জুটি থেকেই বড় স্কোরের ভিত পেয়েছিল বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় উইকেটে ৯৩ বলে সৌম্য-শান্তর ৭১ রানের জুটির পর তৃতীয় উইকেটে ৮৩ বলে ৫১ রানের জুটি। সৌম্য আজও খেলছিলেন দারুণ। তবে ৩৫ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হয় তাকে। কিছুটা দুর্ভাগা হয়েই ফিরতে হয়েছে তাকে। টিভি রিপ্লেতে পরে দেখা গিয়েছে বল পড়েছিল লেগস্ট্যাম্পের লাইনের বাইরে। দলীয় ৯৯ রানে ফিরেছেন এই ওপেনার।

রশিদ খানেরই পরের শিকার ছিলেন মিরাজ। ৪৪ সেন্টিমিটার সরে আসা সুইং বলে ব্যাটের সংযোগ করতে পারেননি। তাতে বোল্ড হয়েছেন দলের সহ-অধিনায়ক। তাওহীদ হৃদয় নিজের শক্তিশালী জায়গা লেগ সাইডেই বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন সেদিকুল্লাহ আতালকে। পরের দুজনও বলতে গেলে ব্যাটে-বলের সংযোগ পুরোপুরি করতে পারেননি। বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ নিতে খুব একটা সমস্যা হয়নি আফগান ফিল্ডারদের।

এরপরেই জাকের-নাসুমের ক্যামিও। জাকের তার তিন ছক্কার সবটাই মেরেছেন ফারুকির বলে। নাসুমের দুই ছক্কা আসে গাজানফারের ওভারে। তাদের শেষদিকের ৫ ছক্কা আর দুই চারের মারই শেষ পর্যন্ত স্কোর টেনে নেয় ২৫২ পর্যন্ত। আফগানিস্তানের হয়ে এদিন ৩ উইকেট পেয়েছেন নানগালিয়ে খাতোরে। দুটি করে উইকেট রশিদ খান এবং গাজানফারের।

এসএ-১০/১১/২৪(স্পোর্টস ডেস্ক)