দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে খেলতে নেমে স্বাগতিক পেসারদের তোপে লজ্জার রেকর্ড গড়েছে শ্রীলঙ্কা। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার দল নিজেদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৪২ রানে অলআউট হয়েছে। তবে সর্বনিম্ন রানে অলআউটের লজ্জার কীর্তিতে এশিয়ান দেশের মধ্যে এখনও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ভারত। মাত্র ৬ রানের জন্য তাদের মুক্তি মেলেনি।
২০২০ সালে ১৪৭ বছরের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এশিয়ানদের মধ্যে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়েছিল ভারত। অ্যাডিলেডে তারা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৩৬ রানেই গুটিয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে ৫৩ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নামে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত। ইনিংসটিতে শোচনীয় বিপর্যয়ে পড়া দলটির কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। এমন লজ্জার রেকর্ড গড়ার মূল কৃতিত্ব দুই অজি পেসার জশ হ্যাজলউড (৫ উইকেট) এবং প্যাট কামিন্সের (৪ উইকেট)।
মাত্র ৩৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ায় ভারতের পুঁজি দাঁড়ায় ৮৯ রান। যা ৮ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। স্বাগতিকরা সেই ম্যাচটি জিতলেও সিরিজ যায় ভারতের পকেটে। তবে লজ্জার কীর্তি যে ইতিহাসের পাতায় জ্বলজ্বল করছে এখনও। যা থেকে আজ লঙ্কানদের কল্যাণে মুক্তির সুযোগ ছিল, যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তবে টেস্টে ভারতের সমান ৩৬ রানে অলআউট হওয়ার নজির আছে আরও দুই দলের, দক্ষিণ আফ্রিকা (১৯৩২, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া) ও অস্ট্রেলিয়ার (১৯০২, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড)।
ভারত-শ্রীলঙ্কার চেয়েও টেস্টে সর্বনিম্ন রানে অলআউটের লজ্জার কীর্তি আছে দুই দলের। সর্বনিম্ন ২৬ রানে অলআউট হয়েছে নিউজিল্যান্ড (১৯৫৫, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড)। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা দুইবার ৩০ এবং একবার ৩৫ রানে অলআউট হয়ে কিউইদের পরে অবস্থান করছে।
এদিকে, এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বনিম্ন ৭১ রানে অলআউট হওয়ার নজির ছিল লঙ্কানদের। ১৯৯৪ সালে ক্যান্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয়েছিল তারা। ডারবানে আজ সেটিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে দলটি। এ ছাড়া বলের বিচারে টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন (৮৩ বল) খেলেছে শ্রীলঙ্কা। সেইসঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট ফরম্যাটে তৃতীয় সর্বনিম্ন রানের নজিরও গড়েছে দলটি।
মাত্র ১৩ রানে ৭ উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের নাস্তানাবুদ করেছেন প্রোটিয়া পেসার মার্কো জানসেন। শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দলের সামনেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার সুযোগ রয়েছে। সমীকরণ মেলাতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ঘরের মাঠে সব টেস্ট জিততে হবে। প্রথম টেস্ট কার্যত তাদের পকেটেই চলে এসেছে। ইতোমধ্যে তাদের লিড ২০০ পেরিয়েছে। এই ম্যাচ জিতলে ফাইনালের দিকে এক ধাপ এগিয়ে যাবে টেম্বা বাভুমার দলটি।
এসএ-০৭/১১/২৪(স্পোর্টস ডেস্ক)