অনলাইন থেকে নিরাপদে যেভাবে রাখা যায় ব্যক্তিগত তথ্য?

লেখাপড়া, সংসার, কর্মক্ষেত্রের নানা ব্যস্ততা সামলেও বর্তমান প্রজন্ম দিনের অনেকটা সময় বের করে নেয় স্মার্টফোনের সঙ্গে কাটাতে। ব্যস্ত বিশ্বে সবসময়ের কাছের এবং বিশ্বস্ত সঙ্গী এখন সাধের মোবাইলটিই। সস্তার ইন্টারনেটের যুগে গোটা দুনিয়া হাতের মুঠোয়। প্রযুক্তি নিঃসন্দেহে জীবনকে অনেকটা সহজ করে দিয়েছে।

কিন্তু ইন্টারনেটের খারাপ দিকগুলোর কথাও তো ভুলে গেলে চলবে না। এই স্মার্টফোনেই গচ্ছিত থাকে আপনার নানা ব্যক্তিগত তথ্য। গোপন মেইল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যকলাপ- সবই একান্ত আপনার সম্পত্তি। আর তাই নেটের জগতে নিজের গোপনীয়তা সুরক্ষিত রাখার দায়িত্বও আপনার। কীভাবে অনলাইন থেকেও নিরাপদে রাখবেন ব্যক্তিগত খুঁটিনাটি? চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন বিষয়গুলি এক্ষেত্রে মাথায় রাখা জরুরি-

১। প্রত্যেকের স্মার্টফোনে ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও, মেসেজ থাকে। তাছাড়া জি-মেইল থেকে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়াও লগ ইন করা থাকে। এমন অবস্থায় ফোনটি অন্য কারও হাতে পড়লে বিপদ আসতেই পারে। তাই ফোনে স্ক্রিন লক করে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। এখন অনেক ফোনেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট ফিচার রয়েছে। সেটি ব্যবহার করেও ফোনকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।

২। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিরাপদ থাকতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। ভিন্ন প্ল্যাটফর্মের জন্য একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করাই ভাল। যেমন ধরুন- ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারের জন্য তিনটি আলাদা পাসওয়ার্ড থাকাই ভাল। অন্য কারও সঙ্গে তা ভুল করেও শেয়ার করবেন না।

৩। অচেনা কেউ যাতে আপনার প্রোফাইলের সব তথ্য না পেয়ে যায়, তার জন্য প্রোফাইলটি প্রাইভেট রাখাই শ্রেয়। সেটিংস থেকে প্রাইভেট অপশনটি সিলেক্ট করে রাখুন। এছাড়াও যে সমস্ত নম্বর বা প্রোফাইল আপনার অপছন্দ, সেগুলি ব্লক লিস্টেই ফেলে রাখুন। এতে বিপদে পড়ার ভয় কম।

৪। অদ্ভুত নামের প্রোফাইল সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলো না করাই ভাল। তারকাদের ফলো করতে হলে পেজটি বা প্রোফাইলটি ভেরিফায়েড কিনা দেখে নিন। কারণ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নামে নানা ভুয়া প্রোফাইল তৈরি হয়।

৫। অনলাইন গেমিংয়ের শখ দিনদিন বেড়েই চলেছে। এক্ষেত্রে ফোনের ওপারের প্লেয়ারের সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না। খেলার স্বার্থে যতটা প্রয়োজন, ততটাই জানান। মনে রাখবেন, বিপদ কিন্তু বলে আসে না। ‌

এসএইচ-২৭/০২/১৯ (প্রযুক্তি ডেস্ক)