মন্ত্রীদের হোয়াটসঅ্যাপে হানা

ফাটল ধরেছে হোয়াটসঅ্যাপের সুরক্ষা বলয়ে। ভারতীয় মন্ত্রীদের তথ্য চলে যাচ্ছে দুষ্ট চক্রের হাতে। কথোপকথন, শেয়ার করা ছবি, ভিডিও-অডিও, সবই বেহাত হয়ে যাচ্ছে এক মুহূর্তে। এছাড়া ঐ হ্যাকারদের নিশানায় রয়েছে ভারতের সাংবাদিক, রাজনীতিক, আইনজীবী ও সমাজকর্মীদের মতো বিশেষ কিছু পেশার মানুষজন।

সুরক্ষা বলয় ভেঙে হ্যাকারদের বিশেষ ‘সফটওয়্যার’-এর ঢুকে পড়ার ঘটনা স্বীকার করেছেন হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। পুরো ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠছে ইজরায়েলি সংস্থা ‘এনএসও’ (NSO)-র দিকে, আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় যারা পরিচিত ‘সাইবার অস্ত্রের ডিলার’ হিসেবে। সংস্থাটি এবার ফেঁসে যাচ্ছে। কারণ, এই সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।

কীভাবে হোয়াটসঅ্যাপের সুরক্ষা বলয় ভাঙছে ইজরায়েলের ওই সংস্থা সেটা এখনও স্পষ্ট নয় সাইবার বিশেষজ্ঞদের কাছে। তবে মনে করা হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপের ‘ভয়েস কলিং’ ফিচার ব্যবহার করে সুরক্ষা ভেঙে চলেছে হ্যাকাররা।

কোনও একটি নির্দিষ্ট মোবাইল সেটে ‘ভয়েস কল’ করে ওই নজরদারি সফটওয়্যার ‘ইনস্টল’ করে দিচ্ছে হ্যাকাররা। ফলে ওই নির্দিষ্ট মোবাইল সেট থেকে যাবতীয় গোপন ও ব্যক্তিগত তথ্য পাচার হয়ে যাচ্ছে হ্যাকারদের কাছে।

হোয়াটসঅ্যাপের এক মুখপাত্র বলেছেন, ভারতের সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা মূল নিশানা। তা ছাড়াও রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মীরাও রয়েছেন। অন্তত ১৪০০ জন ইতিমধ্যেই আক্রান্ত। গোপনে তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে নিচ্ছে হ্যাকারদের সফটওয়্যার। এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের নাম ও মোবাইল নম্বর আমরা জানতে পারিনি। তবে খুব দ্রুত হোয়াটসঅ্যাপের সুরক্ষা মজবুত করার চেষ্টা চলছে।

এসএইচ-২১/০১/১৯ (প্রযুক্তি ডেস্ক)