ফেসবুক-গুগলের ব্যবসা মডেল মানবাধিকারের জন্য হুমকি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলের ‘নজরদারিভিত্তিক ব্যবসায়িক মডেলকে’ মানবাধিকারের জন্য হুমকি উল্লেখ করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ৬০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে অ্যামেনেস্টি বলেছে, গুগল ও ফেসবুকে নির্দিষ্ট মূল্য পরিশেধ করে পরিষেবাগুলো নেয়া সত্ত্বেও তারা তাদের প্ল্যাটফর্মে বাড়তি আয়ের জন্য অনেক কৌশল ব্যবহার করে।

ফেসবুক ও গুগল ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবসায়িক বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে জানিয়ে অ্যামেনেস্টি বলেছে, এই দুটি সংস্থা মানুষের গোপনীয়তার অধিকারের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। তারা তাদের পরিষেবাগুলোতে প্রবেশযোগ্যতার বিনিময়ে বিভিন্ন তথ্য ছাড়াও ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে নেয়। এটি একটি সমস্যা। কারণ উভয় সংস্থাই মানুষের ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে।

অ্যামনেস্টির মহাসচিব কুমি নাইডু বলেন, ‘আমাদের ডিজিটাল জীবনে তাদের এই নিয়ন্ত্রণ গোপনীয়তার অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করছে এবং এটি আমাদের যুগের মানবাধিকার চ্যালেঞ্জের মধ্যে অন্যতম।’

প্রতিবেদনে অনলাইন পরিষেবাগুলোতে প্রবেশযোগ্যতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি জনগণের গোপনীয়তা সুরক্ষা করার নীতিমালা বাস্তবায়নে সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

‘এই করপোরেশন কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হওয়া মানুষদের সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। তবে গত দুই দশক ধরে প্রযুক্তি সংস্থাগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্ব-নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।’

কিন্তু অ্যামনেস্টির এই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত নয় ফেসবুক। ফেসবুকের পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর স্টিভ স্যাটারফিল্ড তাদের বিজনেস মডেলকে ‘নজরদারিভিত্তিক’ বলে অ্যামেনেস্টির ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, ফেসবুকের ব্যবহারকারীরা স্বেচ্ছায় তাদের পরিষেবার জন্য সাইন-আপ করেন।

ফেসবুকের মতো গুগলও অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেও এ বিষয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দেয়নি।

এসএইচ-১৯/২২/১৯ (প্রযুক্তি ডেস্ক)