ফেসবুকীয় ভাষায় পরীক্ষায় উত্তর লিখছে শিক্ষার্থীরা!

ফেসবুক যেনো এখন এক নতুন ক্রেজ। তার ভাষাও অভিনব। যেমন ‘লল’এসাম’ বা ‘আরেবা্পস’। নতুন জেনারেশনই যেনো ফেসবুকে আক্রান্ত। নাহলে কোনো দেশের জাতীয় পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা উত্তরপত্র লেখেন ফেসবুকের ভাষায় !

ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র মাল্টার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেখা গিয়েছে নতুন এক চিত্র। দেশটির মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আশঙ্কাজনকভাবে পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ার জন্য ফেসবুককেই দায়ী করছেন শিক্ষকেরা।

টাইমস অব মাল্টা জানায়, মাল্টার সেকেন্ডারি এডুকেশন সার্টিফিকেট পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের নম্বর কম পাওয়ার পেছনে ফেসবুক ও ইন্টারনেটকে দোষারোপ করেছেন পরীক্ষকেরা। দেশটিতে ১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকে। ২০১৯ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩ হাজার ৮৮৫ জনের মান-উন্নয়ন বিশ্লেষণ করে উদ্বেগজনক চিত্র দেখতে পেয়েছেন পরীক্ষকেরা।

পরীক্ষার খাতায় সাধারণ বানান ভুল করেছে শিক্ষার্থীরা, সচরাচর যা হওয়ার কথা নয়।দেখা গেছে, প্রকৃত বানান না লিখে ফেসবুকে ব্যবহৃত শব্দের বানান পরীক্ষার খাতায় লিখেছে শিক্ষার্থীরা। ফেসবুকে কথ্য ভাষা ও লেখ্য ভাষা সেই সঙ্গে শব্দ বা বাক্যের সংক্ষিপ্ত রূপকে পরীক্ষার খাতায় প্রয়োগ করেছে তারা।

প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ভাষায় লেখা হয়েছে বলে পরীক্ষকেরা জানান।

এসএইচ-২১/০২/২০ (প্রযুক্তি ডেস্ক)