ফেসবুকের নিষিদ্ধ তালিকায় বাংলাদেশের যারা

বিশ্বজুড়ে চার হাজার ব্যক্তি ও সংগঠনের একটি গোপন কালোতালিকা বানিয়েছে ফেসবুক। এসব ব্যক্তি ও সংস্থাকে বিপজ্জনক হিসেবে বিবেচনা করছে সামাজিক মাধ্যমটি।

ফেসবুকের বিপজ্জনক ব্যক্তি ও সংগঠন (ডিআইও) নীতি অনুসারে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ নথির বরাতে দ্য ইন্টারসেপ্ট এমন খবর দিয়েছে।

তালিকায় জঙ্গিগোষ্ঠী, ঘৃণাবাদী গ্রুপ, দাতব্য প্রতিষ্ঠান, লেখক ও রাজনীতিবিদরা রয়েছেন। এতে বাংলাদেশি ছয় সংগঠন ও ব্যক্তিও আছেন। তারা হলো—আল-মুরসালাত মিডিয়া, ইসলামিক স্টেট বাংলাদেশ, হারাকাত উল-জিহাদ ই ইসলামি বাংলাদেশ, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি), সাহাম আল-হিন্দ মিডিয়া।

কালোতালিকায় তরিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিও রয়েছেন। তিনি অবশ্য জেএমবির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

দ্য ইন্টারসেপ্ট বলছে, কালোতালিকার ৫৩ দশমিক সাত শতাংশ নাম সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এছাড়া ২৩ দশমিক তিন শতাংশ যুক্ত সশস্ত্র সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে। ১৭ শতাংশ বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়ায়, ৪ দশমিক ৯ শতাংশ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য এবং এক শতাংশ নাম ভায়োলেন্ট নন-স্টেট অ্যাক্টরস।

সামাজিকমাধ্যমটির তালিকায় নামগুলো তিন স্তরে ভাগ করা হয়েছে। সন্ত্রাসী সংগঠন, যারা বিদ্বেষ ছড়ায় এবং অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকলে সর্বোচ্চ পর্যায়। অর্থাৎ তাদের নাম স্তর-১ হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়।

আর সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে সশস্ত্র সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নামগুলো। দ্য ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনে এদের বেশির ভাগই মার্কিন সরকারবিরোধী ডানপন্থী মিলিশিয়া, যাদের প্রায় সবাই শ্বেতাঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ফেসবুক সন্ত্রাসবাদী প্রপাগাণ্ডা ছড়াতে, সহিংস ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে মুক্তভাবে প্রচার চালাতে সহায়তা করে—এমন অভিযোগ থেকে বাঁচতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০১২ সালে অনলাইন মাধ্যমে সন্ত্রাসী সংগ্রহ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ও জাতিসংঘের হুঁশিয়ারির পর নতুন কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্স নির্ধারণ করে মার্ক জুকারবার্গের এই প্রতিষ্ঠান।

এতে যেসব সংগঠনের সন্ত্রাসী ও সহিংস অপরাধ তৎপরতার ইতিহাস আছে, সেগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরে তা বিপজ্জনক ব্যক্তি ও সংগঠন (ডিআইও) নীতিতে পরিণত হয়। এই বিধিনিষেধ অনুসারে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে ফেসবুকে।

এর আগে এই তালিকা প্রকাশে অনীহার কথা জানিয়েছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিকমাধ্যমটি। যুক্তি ছিল, এতে তাদের কর্মীরা বিপদে পড়তে পারেন। কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, সাধারণ মানুষকে এই তালিকা দেখাতে হবে।

এসএইচ-২০/১৩/২১ (প্রযুক্তি ডেস্ক)