ব্লকচেইন প্রযুক্তির পথে হাঁটছে বাংলাদেশ

ব্লকচেইন ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি। এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কনসুলেট দুবাই আয়োজন করে এক ইনোভেশন সেমিনার।

সেমিনারে আলোচকরা বলেন, উন্নত বিশ্বের অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি কার্যকর হলে বন্ধ হবে দুর্নীতি, অর্থপাচার আর হুন্ডির মতো কর্মকাণ্ড। আর্থিক লেনদেনেও আসবে নিরাপত্তা। কমবে সময় ও খরচ।

প্রতি বছর ১০ কোটি কাগুজে দলিলের কাজ ডিজিটাল করার মাধ্যমে কাগজকে বিদায় জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সরকার ব্যবস্থাকে ব্লকচেইনে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে দুবাইরে করা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে স্মার্ট, পরিচ্ছন্ন ও সুখী শহর।

এ ধরনের প্রকল্প যে শুধু দুবাইতেই শুরু হয়েছে, তা নয়। বিশ্বের প্রায় সব বড় শহরই এখন নিজেদের আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নির্ভর করে তোলার চেষ্টা করছে।

এবার সেই কাতারে শামিল হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চতুর্থ শিল্প পরিবর্তনের পথে ব্লকচেইন ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে।

আমিরাতের দুবাই কন্সূলেট আয়োজিত সেমিনারে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তি শিল্পের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার জন্য ব্লকচেইন টেকনোলজি অত্যন্ত উপযোগী ও নির্ভরযোগ্য একটি মাধ্যম বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

এই প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশাসনের পক্ষে সহজ হবে নাগরিকদের গোপনীয় তথ্যাদি সুরক্ষিত রাখা এবং প্রতারণাকে রুখে দেয়া। সেই সঙ্গে ডিস্ট্রিবিউটেড ডাটাবেজ হিসেবে ব্যবহৃত এই ব্লকচেইন সকল কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি পাবলিক রেকর্ড হিসেবে কাজ করবে।

দুবাইকে আরব আমিরাতের স্মার্ট শহর হয়ে ওঠার পথে সবচেয়ে বড় সোপান হিসেবে বিবেচনা করা হয় এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকেই। এবার সেই ধারণায় ডিজিটালাইজেশন ও মেশিন লার্নিংয়ে নিজেদেরকে ভিন্ন রূপে সৃষ্টি করতে বাংলাদেশের সামনে হাতছানি দিচ্ছে নতুন দিগন্ত।

এসএইচ-২৩/৩০/২২ (প্রযুক্তি ডেস্ক)