মোবাইল গ্রাহকদের জন্য তিন ও ১৫ দিন মেয়াদ বাদ দিয়ে রোববার থেকে চালু হচ্ছে নতুন ডাটা প্যাকেজ। নতুন নিয়মে ৭, ৩০ ও আনলিমিটেড-এই তিন মেয়াদে সবোর্চ্চ ৪০টি প্যাকেজ প্রদর্শন করতে হবে মোবাইল অপারেটরদের। এর ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারে ১০-১৫ টাকা খরচ বাড়ছে গ্রাহকের।
গেল ১৭ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ৩ ও ১৫ দিনের মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ৭, ৩০ ও আনলিমিটেড-এই তিন মেয়াদে সেবা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। একইসঙ্গে প্যাকেজ সংখ্যা ৯৫টি থেকে কমিয়ে ৪০টিতে নির্ধারণ করা হয়।
বিটিআরসির নির্দেশনা মেনে রোববার থেকে তিন ও ১৫ দিন মেয়াদের ডাটা প্যাকেজ সরিয়ে ফেলবে মোবাইল অপারেটররা। কোনো হেরফের হচ্ছে না একমাস ও আনলিমিটেড মেয়াদের ডাটায়। তবে ৭দিন মেয়াদের ডাটা ব্যবহারে খরচ বাড়ছে।
অপারেটররা বলছে, কোনো প্যাকেজে দাম ঠিক রেখে ডাটা ভলিউম কমানো হবে। আবার কোনোটায় ডাটা ভলিউম ঠিক রেখে বাড়ানো হবে দাম। এতে গড়ে ১০-১৫ টাকা বাড়তি খরচ হতে পারে গ্রাহকের। কারণ ভ্যাট, ট্যাক্সের কারণে ইন্টারনেটের দাম বেড়েছে ৭-৮ শতাংশ।
এক গ্রাহক বলেন, ১৭ টাকায় ২ জিবি কিনলে ১৫ দিন মেয়াদ থাকত। বাসায় ওয়াইফাই থাকায় এটাই আমার জন্য যথেষ্ঠ। এখন ১৫ দিনেরটা সরিয়ে নিলে তো আমার জন্য লোকসান। কারণ বেশি টাকা দিয়ে বেশি ডাটা কেনার তো আমার প্রয়োজন নেই।
জানা গেছে, প্রায় সাত কোটি গ্রাহক ব্যবহার করতেন তিন দিন মেয়াদের ডাটা। সব মিলিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে গ্রাহক হারানোর শঙ্কায় মোবাইল অপারেটররা। যদিও বিটিআরসি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে বলে দাবি তাদের।
মোবাইল অপারেটর রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম সময় সংবাদকে বলেন, ‘এর প্রভাবটা অনেক বড় আকারেই হবে। আমাদের আয় ও সাবস্ক্রাইবার কমে যেতে পারে।’
বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, বিটিআরসির সঙ্গে আমরা বারবার এ নিয়ে কথা বলেছি। তারা বলছেন, যেহেতু একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাই এটা আপনারা করুন। পরিস্থিতি বুঝে দরকার হলে এটা পরিবর্তন করা হবে।
বর্তমানে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন প্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ গ্রাহক।
এসএইচ-১০/১৪/২৩ (প্রযুক্তি ডেস্ক)