জয়পুরহাটে আ’লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ২

জয়পুরহাটের কালাইয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছে আরও ছয়জন। শনিবার মাঝরাতে কালাই উপজেলার মোসলেমগঞ্জ বাজারে এ সংঘর্ষ হয়।

নিহত দু’জন হলেন- পুনট মোন্না পাড়ার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে আত্তাব উদ্দিন (৪৮) এবং পুনট মাহির্ষ পাড়ার চারু মহন্তের ছেলে রতন মহন্ত (৪৫)। আহতরা হলেন- রানা মিয়া, মুছা, বায়েজিদ, সোবহান, মহসিন ও নাসির উদ্দিন।

উপজেলায় পরিষদ নির্বাচনের পর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় বিজয়ী চেয়ারম্যানের সমর্থকদের সঙ্গে স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ি এ সংঘর্ষ হয়।

স্থানীয়রা জানায়, গত ১০ মার্চ কালাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মিনফুজুর রহমান মিলন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে উদয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াজেদ আলী জাসদের প্রার্থীকে সমর্থন করেন।

শনিবার রাতে ওয়াজেদ আলী মোসলেমগঞ্জ বাজারে বিজয়ী চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলনের এক সমর্থকে মারধর করছে- এমন খবর পেয়ে মিলন তার লোকজন নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় ওয়াজেদর লোকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে এলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত সাড়ে ১২টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হলে খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১১৩ রাউন্ড সর্টগানের রাবার বুলেট ছোড়ে। সংঘর্ষ বেশ কয়েকজন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

তাদের মধ্যে গুরুতর আহত আত্তাব উদ্দিন এবং রতন মহন্তকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত দেড়টার দিকে আত্তাব উদ্দিন মারা যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোরে মারা যান রতন মহন্ত।

মিনফুজুর রহমান মিলন বলেন, আমার দু’জন সমর্থকে ওরা মেরে ফেলেছে। আরও ৮ জন আহত হয়েছে। এর দায় পুরোটাই ওয়াজেদকে নিতে হবে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বারবার চেষ্টা করা হলেও ওয়াজেদ আলীর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ খান জানান, মোসলেমঞ্জ বাজারে দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে দু’জন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ১১৩ রাউন্ড সর্টগানের রাবার বুলেট ছোড়ে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের প্রত্যাহার করা হবে।

বিএ-০৩/১৭-০৩ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)