বিয়ের দাবিতে শিক্ষকের বাড়িতে শিক্ষার্থীর অনশন

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে পাঁচ দিন ধরে অনশন করছেন একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক স্থাপনের পর বিয়ে না করায় ওই শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার থেকে অনশন করছেন।

এদিকে শনিবার ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদি হয়ে রাণীশংকৈল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। একই দিন রাণীশংকৈল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোষী শিক্ষাকের বিরুদ্ধে এখানো কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সোমবার রাণীশংকৈল-বালিয়াডাঙ্গি মহাসড়কে মানববন্ধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন।

অনশনরত শিক্ষার্থী বলেন, ‘কম্পিউটার অপারেটর শিক্ষক তৌহিদুলের সঙ্গে আমার তিন বছরের প্রেমের সর্ম্পক। তিনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করেছেন। এখন তিনি আমাকে এড়িয়ে চলছেন। অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করেছেন। আমি আমার অধিকার আদায়ের জন্য পাঁচ দিন ধরে তৌহিদুলের বাড়িতে অবস্থান করছি। তৌহিদুলের পরিবার আমাকে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাকে বিয়ে না করলে আমি এ বাসা থেকে যাবো না।’

এদিকে রাণীশংকৈল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমি আক্তার, তাবাসসুম জানান, আমাদের সহপাঠীর সঙ্গে অন্যায় অবিচার হয়েছে। সঠিক বিচার না হওয়া পযর্ন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। সোমবার পর্যন্ত ৫ দিন হয়ে গেলেও কোনো সমাধান হয়নি। আমরা দোষী শিক্ষকের কঠিন শাস্তি চাই। যাতে তার শাস্তি দেখে আর কোনো শিক্ষক ভুল করেও শিক্ষার্থীদের দিকে কু-নজরে না তাকায়।’

অভিযুক্ত তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

রাণীশংকৈল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহেল রানা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পরে ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শিক্ষার্থীরা গত ৩ দিন ধরে আন্দোলন করছে? এমন প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।

ঠাকুরগাঁও সহকারী পুলিশ সুপার (রাণীশংকৈল সার্কেল) মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা যে অভিযোগ করছে তা খতিয়ে দেখা হবে।’

এসএইচ-১২/০৭/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)