প্রোটিয়াদের লড়াই করতে না পারার হতাশা

লক্ষ্যটা বড়, আবার তা টপকানো যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে অসম্ভব সেটা বলা যাবে না। রেকর্ড গড়ে জেতারও নজির রয়েছে তাদের। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে তারা ইংল্যান্ডের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। ব্যাটে-বলে এক রকম উড়ে গেছে তারা।

প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড গড়েছে ৩১১ রান। জবাবে প্রোটিয়াদের ইনিংস থেমে গেছে মাত্র ২০৭ রানে। তাই হেরেছে ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে।

দলের এই হারের জন্য ব্যাটম্যানদেরই দায়ী করেছেন দলটির অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি, ‘সত্যি কথা বলতে কী লক্ষ্য বড় হলেও তা টাপানো যেত। ভালো কিছু পার্টনারশিপ গড়ে না ওঠায় সম্ভব হয়নি ম্যাচে লড়াই করা। তাই এই ম্যাচে হেরেছি। আশা করছি পরের ম্যাচে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’

পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের। আগামী ২ জুন হবে ম্যাচটি। এই ম্যাচে দুই দলের লড়াই কেমন হয় সেটাই দেখার।

এদিকে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড আট উইকেট হারিয়ে ৩১১ রান করে। ওভালে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে দিনের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওপেনার ওপেনার জনি বেয়ারস্ট্রোর উইকেট হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড। স্পিনার ইমরান তাঁকে সাজঘরে ফেরান। এই ধাক্কা সামলে স্বাগতিকরা শেষ পর্যন্ত বড় সংগ্রহই গড়ে।

মিডল অর্ডারে নামা বেন স্টোকস ইংল্যান্ডকে বড় সংগ্রহ গড়ে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। তিনি ৭৯ বলে ৮৯ রান করেন। এ ছাড়া জেসন রয় (৫৪), রুট (৫১) ও মরগান (৫৭) দারুণ কয়েকটি ইনিংস খেলেন।

ইমরান তাহির ৬১ ও রাবাদা ৬৬ রানে দুটি করে উইকেট নেন। আর লুঙ্গি ৬৬ রানে তিন উইকেট পান।

জবাবে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা পারেনি নিজেদের খুব একটা মেলে ধরতে। তাদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ কুইন্টন ডি ককের। তিনি ৭৪ বলে ৫৪ রান করেন। যাতে ছয়টি চার ও দুটি ছক্কার মার রয়েছে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ভ্যান ডার ডুসেনের। তিনি করেন ৬১ বলে ৫০ রান। অন্যরা ছিলেন আসা যাওয়ায় মধ্যে।

জফরা আর্চারের গতির সামনেই যেন অসহায় ছিলেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। তিনি ২৭ রানে তিন উইকেট নেন। আর লিয়াম প্লানকেট ও বেন স্টোকস পান দুটি করে উইকেট। ব্যাটে-বলে দারুণ খেলে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হন বেন স্টোকস।

এসএইচ-০৩/৩১/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)