‘সমালোচনা নয়, আরও বেশি শ্রদ্ধা প্রাপ্য মাশরাফির’

চলতি বিশ্বকাপে নিজদের তৃতীয় ম্যাচে ইংলিশদের কাছে ১০৬ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে দলের বোলারদের যখন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা নাভিশ্বাস তুলে ছাড়ছেন, সেসময় ৫০ বলে ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা জনি বেয়ারস্টোকে আউট করে ব্রেক থ্রু এনে দেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

বেয়ারস্টো’র ওই উইকেটটি এবারের বিশ্বকাপে মাশরাফির প্রথম উইকেট। তাও ৬৮ রান খরচ করে। নিজের শেষ ওভারে ১৮ রান না দিলে ৯ ওভারে ১ উইকেটে হতো ৫০ রান। খুব একটা খারাপ না। কিন্তু তিনি ডেথ ওভারে বল করার ঝুঁকি নিয়েছেন। পাঁচ ম্যাচ পর উইকেট পেলেও তা কাজে লাগেনি। ফলে সমালোচনার ঝড় তার দিকেই ধেয়ে এসেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাশরাফি বিন মুর্তজার পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনায় মর্মাহত হয়েছেন সতীর্থ ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। তাই সমালোচকদের বিরুদ্ধে এবার ব্যাট চলালেন বাংলাদেশ দলের এই ওপেনার। বাংলাদেশের ক্রিকেটে মাশরাফির অবদান কতটা, সমালোচকদের সেটি মাথায় রাখতে বলেছেন দেশের সফলতম এই ব্যাটসম্যান।

মাশরাফির মতো এবারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত নিজের সেরাটা খেলতে পারেননি তামিমও। তিনি দেশের সফলতম ব্যাটসম্যান, মাশরাফি দেশের সফলতম ওয়ানডে বোলার। কিন্তু গত কয়েকদিনে এই দুজনের দিকেই সমালোচনার তীর ছুটেছে বেশি।

শনিবার অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের অধিনায়কের হয়ে সমালোচকদের উদ্দেশে তামিম বলেন, যারা তাকে (মাশরাফি) নিয়ে সমালোচনা করছে বা লিখছে, তারা এসব বলার কিংবা লেখার আগে যদি দু’টো মিনিট চিন্তা করে যে কার ব্যাপারে বলছে। তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য গত ১৫-১৬ বছর ধরে কি করেছেন।

মাশরাফির ফিটনেস নিয়ে সমালোচনার জবাবে তার উত্তর, উনি যদি আনফিট হন, তাহলে তো সেটা ১০ বছর ধরেই। তখন আমরা আবেগ থেকে দেখেছি। এখন একটু এদিক-সেদিক হলেই অনেক বড় করে দেখছি। আমরা এমন একজনকে নিয়ে কথা বলছি যার হাত ধরে আমাদের এত দূর আসা। এটা আমাদের দল কিংবা আমার নিজের জন্য প্রযোজ্য। তাকে নিয়ে এসব সমালোচনা খুব অন্যায্য। আমি মনে করি আরও বেশি শ্রদ্ধা প্রাপ্য তার।

ইংলিশদের বিপক্ষে ম্যাচের পর সমালোচনার কাতারে যোগ দেন আগারকার। বাংলাদেশের একাদশে মাশরাফির সুযোগ পাওয়াই উচিত নয় বলে মন্তব্য করে বসেন তিনি। তামিম এই কথারও জবাব দিয়েছেন।

নাম উল্লেখ না করেই তামিম বলেন, বিদেশি অনেকে কথা বলছেন শুনেছি। আমার একটা প্রশ্ন, উনারা নিজেদের জীবনে কি করেছেন? আর আমার কাছে বাইরের মানুষের কথা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু দেশের মানুষদের বোঝা উচিত মাশরাফি দেশের জন্য কতোটা করেছে।

তিনি আরও বলেন, একজন ক্রিকেটারের জীবনে উত্থান-পতন থাকবেই। ক্যারিয়ারের ভালো এবং খারাপ দু’ধরনের ঘটনাই ঘটবে। কখনো ভালো খেলবে আবার কখনো খারাপ। তাই বলে তাকে বাদ দিতে হবে এমনটা মনে করেন না তামিম। দলের সবাই তো ভালো করতে পারে না। এটা সব দলের জন্যই প্রযোজ্য। তাই ভালো করলে যেমন পাশে থাকতে হবে, খারাপ করলেও পাশে থাকা জরুরি।

এসএইচ-৩০/১৫/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)