ছদ্দনাম ইলোরা। চোখে মুখে তার একরাশ স্বপ্ন। তবে দু:শ্চিন্তার পাহাড় তাঁর কপালে ভাঁজ ফেলছে। কারন, জীবনের চলার পথে তাঁকে মাড়াতে হবে অনেক পথ। বিশেষ করে সমাজের পরিবেষ্ঠিত ব্যবস্থাত আর পাল্টাতে পারবে না। কিন্ত এর মাঝেই এগুতে হবে সামনের দিকে। এমন কথা ভাবে আর বাড়ির বাইরের গুকিয়ে যাওয়া শিউলি ফুলের গাছের দিকে তাকিয়ে থাকে। বেশ কিছুদিন থেকে পানি দেবার সাথে সাথে যত্ন করছে যাতে করে আবারো গাছটিতে নতুন করে পাতা গজায়। হয়ত এক সময় পুরো গাছ আবারো ভরে উঠবে ফুলে ফুলে। সুবাস ছড়াবে সবার মাঝে। প্রকৃতিকে দিবে নতুন রূপ। কিন্ত তাঁর আগামী দিনের জীবনটাকি এমন শিউলি ফুলের গাছের মত হবে। এমন চিন্তা নিয়ে ঠাই দাড়িয়ে আছে। অপেক্ষা করছে তাঁর মনে আাঁকা স্বপ্নগুলো নিয়ে। চিত্রশিল্পি তাঁর ওম্যান লাইফ সিরিজের সিক্সটিনে এমনটাই বলতে চেয়েছেন।
শিল্পি তাঁর সিরিজের এইট ছবিতে বলতে চেয়েছেন নারীদের নিরাপত্তার গল্প। বিশেষ করে রাতের বেলা। নীলাকাশে চাঁদ তার আলো বিলাচ্ছে গোটা পৃথিবী জুড়ে। যে আলোয় মহিত হচ্ছে জগতের প্রানীকুল। আর এই প্রানীকুলের কিছু দানবের লোলুপ দৃষ্টি নারীদের চাঁদনি রাতেও চলাফেরায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে। যার প্রতিচ্ছবি প্রতিদিন দেখা মিলছে সমাজের বিভিন্ন স্তরে। নীরাপত্তাহীনতা গ্রাস করছে আগামী দিনের আলো ছড়ানোর সম্ভাবনাময়ি নারীদের। এমন অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সচেনতন হতে হবে এমনটাই বলতে চেয়েছেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের চিত্রশিল্পি রাজশাহীর মেয়ে নারগিস পারভিন সোমা। এমন গল্প মাখানো দুটি ছবি প্রদর্শনীর জন্য মনোনীত হয়েছে। ছবি দুটি প্রদর্শীত হবে তুরুস্কে।
আগামী ৪ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত তুরুস্কের গাজানতিপ ইউনিভারসিটির আয়োজনে আর্ট এন্ড অটিসিটিক সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হবে। তিন দিনের এই প্রদর্শনীতে রাজশাহী চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক নারগিস পারভিন সোমার ছবি দুটি প্রদর্শীত হবে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে ই-মেইলে পাঠানো আমন্ত্রন পত্রের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
সোমা জানান, আন্তর্জাতিক ও দেশের জাতীয় পর্যায়ে চিত্রপ্রদর্শনীতে অংশ নেবার জন্য এবং ছবির মাধ্যমে নারীদের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটকে তুলে ধরতে এঁকে চলেছেন ওম্যান লাইফের সিরিজ। যার মধ্যে বিভিন্ন এ্যাওয়ার্ডও অর্জন হয়েছে তাঁর।
তিনি বলেন, নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে দেশে। তার সবটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে এমনটা বলা যাবে না। তবে সমাজের মানুষ সচেতন হলে নারীরাও যে দেশ ও সমাজের জন্য ভাল কিছু করতে পারবে তা ইতমধ্যে প্রমানিত হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নারীরা এখন সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রেও অগ্রনী ভূমিকা রাখছে। তবে এর মাঝেও ঘটছে নানা অঘটন। এই সকল অঘটন থেকে নারীদের রক্ষা করতে সাবইকে অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে।
সোমা বলেন, ওম্যান-৮ ও ওম্যান-১৬ এই দুটি ছবি তুরস্কে আয়োজিত তিনদিনের তৃতীয় উলসলারাসি সানাতউয়ে এসটেথিক সিম্পোজিয়ামের ছবি প্রদর্শনের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। খুব শিঘ্রই আয়োজকদের কাছে ছবি দুটি পাঠিয়ে দেয়া হবে।
এসএইচ-২৯/০৬/১৯ (সুমন হাসান)