চুল স্বাস্থ্যবান ও ভালো রাখার কৌশল

চুল স্বাস্থ্যবান

চুলেই মানুষের সৌন্দর্য, এ কথাটি অস্বীকার করা যায় না। এটির কোনো সমস্যায় হতাশায় ডুবে যায় তরুণ-তরুণীরা। মাথার চুল বেশি ঝরে গেলে অনেকেই ভেঙে পড়েন।

তাই প্রয়োজন চুল সম্পর্কে সঠিক বিজ্ঞান চেতনা। একই সঙ্গে চুল সঠিভাবে পরিচর্যা করার সম্যক জ্ঞান। সাধারণভাবে সপ্তাহে একদিন শ্যাম্পু করা দরকার।

যাদের রোজ বাইরে বেরোতে হয়, বাস, ট্রেনে ঘুরে বেড়াতে হয় কিংবা যাদের কলকারখানা বা ধুলো-বালির মধ্যে কাজ করতে হয়, তাদের প্রয়োজনে সপ্তাহে দুদিন শ্যাম্পু করতে হবে।

প্রয়োজনে আরও বেশিবার করা যায়; প্রয়োজনে ব্যবহার করতে হবে মেডিকেটেড শ্যাম্পু।

এ ছাড়া নিয়মিত গোসল করতে হবে।

রোজ চুল আঁচড়াতে হবে বেশ কয়েকবার।

বেশি সরু দাড়ার চিরুনি ব্যবহার করা যাবে না।

একটু মোটা দাড়ার চিরুনিই ভালো।

অনেকে শুকনো চুল ব্রাশ বা চিরুনি দিয়ে জোরে জোরে আঁচড়ান।

এতে চুলের ডগা কেটে যায়।

সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহারের সময় অনেকে চুল কাপড় কাচার মতো করে কচলান।

মনে রাখতে হবে, চুল শরীরেরই অংশ। তাই সাবধানে পরিচর্যা করা দরকার। সামান্য ভিজে অবস্থায় চুল আঁচড়ালে চুলে আঘাত কম লাগে। আর চিরুনি হতে হবে পরিষ্কার।

তৈলাক্ত চুল : ত্বকের মতো, বংশগতির প্রভাবে চুল অনেক সময় শুষ্ক বা তৈলাক্ত হয়। পরিবেশগত কারণও এ জন্য অনেকটা দায়ী। অতিরিক্ত সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহারেও চুল অনেক সময় রুক্ষ করে দিতে পারে। আবার উল্টোটাও সত্যি। অনেকে একদম সাবান বা শ্যাম্প ব্যবহার করেন না। কিন্তু জবজবে করে তেল মাখেন। এতে চুল অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়। চুলে তেল দিয়ে চুলের বিশেষ ক্ষতি হতে পারে, খুশকি বেশি হতে পারে, ময়লা জমতে পারে বেশি।

প্রবাদে আছে, তেলা মাথায় তেল দেওয়া উচিত নয়। এটা বাস্তব সত্যি। চুলের পুষ্টি আসে মূলত শরীরের ভেতর থেকে। তবে যাদের মাথা বা চুল শুষ্ক কিংবা রুক্ষ, তারা তেল দিতে পারবেন। তেল গোসলের আগের চেয়ে গোসলের পরে দেওয়া ভালো। গন্ধহীন বিশুদ্ধ নারকেল তেল মাখা ভালো।

নিয়ম হলো, চুল সামান্য ভেজা থাকা অবস্থায় অল্প নারকেল তেল দিয়ে মাথার ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করা। এতে মাথায় ত্বকের রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। বেশি জোরে ঘষলে চুল বেশি উঠতে পারে।

চুলের গোড়ায় যাতে আঘাত না লাগে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শ্যাম্পু ব্যবহারের ক্ষেত্রেও তাই। ধারালো ব্রাশ বা চিরুনি দিয়ে জোরে আঁচড়ালেও একই সমস্যা হতে পারে।

আরএম-২২/১২/০৪ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)