চীনফেরত ৮ বাংলাদেশির শরীরে করোনাভাইরাস পাইনি আইইডিসিআর

চীনের উহান থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে ৮ জনকে পরীক্ষা করে কারোর শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।

সোমবার আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সাংবাদিকদের এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ঢাকার সরকারি কুর্মিটোলা ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তাদের (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছিল।

দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আটজনের নমুনার পরীক্ষার ফলাফল রোববার সন্ধ্যায় হাতে পেয়েছি। তাতে কারোর শরীরে করোনাভাইরাস পাইনি। বিমানে থাকা অবস্থায় তাদের স্ক্রিনিং করা হয়। আটজনের শরীরের তাপমাত্রা প্রত্যাশিত মাত্রার থেকে বেশি হওয়ায় তাদের দুটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর আইইডিসিআর তাদের নমুনা সংগ্রহ করে। তবে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

তিনি বলেন, তাদের মধ্যে যে সাতজন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ছিলেন, তাদের গত রাতেই আশকোনায় হজক্যাম্পে পাঠিয়ে দিয়েছি। এদের মধ্যেই একজনের শরীরের তাপমাত্রা বেশি পাওয়ায় তাকে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য আবার কুর্মিটোলায় পাঠিয়েছি।

ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) থাকা অপর চীনফেরত নারী অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ায় করোনাভাইরাস না পাওয়া গেলেও তাকে সেখানেই রাখা হয়েছে বলে জানান মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

উহান থেকে শনিবার বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিন শতাধিক বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়। বিমানবন্দরের পরীক্ষা করে তাদের মধ্যে আটজনের শরীরে জ্বর পাওয়া যায়। এদের মধ্যে সাতজনকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে এবং আরেক নার্সকে সিএমএইচে পাঠানো হয়।

ওই নার্স অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তার স্বামী ও সন্তানকেও তার সঙ্গে সিএমএইচে থাকতে দেওয়া হয়। বাকিদের আশকোনার হজ ক্যাম্পের পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে নিয়ে রাখা হয়। তাদের মধ্যে পরে জ্বর আসায় আরও দুই পরিবারের পাঁচজনকে সিএমএইচে নেওয়া হয় বলে এই চিকিৎসক জানান।

রোববার পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীন থেকে আসা ৫ হাজার ৯৫২ জনের ‘থার্মাল স্ক্রিনিং’ হয়েছে বলে আইইডিসিআর জানিয়েছে। করোনাভাইরাস সন্দেহে মোট ৩৪ জনের শরীরের নমুনা পরীক্ষা করে কোনো ভাইরাস পাওয়া যায়নি।

বিএ-০৯/০১-০২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)