একদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রমে বিজয়গাঁথা রচনা করছেন বাংলাদেশের যুব ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপ জয়ের নিশান এঁকে দিচ্ছেন তারা সেনওয়েজ পার্কের সবুজ ঘাসে। অন্যদিকে, রাওয়ালপিন্ডিতে স্বাগতিক পাকিস্তানের কাছে রীতিমত নাকান-চুবানি খেয়ে চলেছে তামিম-মুমিনুলরা।
প্রথম ইনিংসেই পাকিস্তানের চেয়ে ২১২ রান পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে একের পর এক উইকেট হারিয়েছে শুধু টাইগাররা। যার ফলে তৃতীয় দিন শেষে স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের রান উঠলো ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৬।
ইনিংস পরাজয় এড়াতে হলে এখনও ৮৬ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। হাতে আছে কেবল ৪ উইকেট। অধিনায়ক মুমিনুল হকই কেবল লড়ছেন পাকিস্তানি বোলারদের বিপক্ষে। তিনি অপরাজিত রয়েছেন ৮৭ বলে ৩৭ রান করে।
দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করলেন পাকিস্তানের তরুণ পেসার নাসিম শাহ। ক্রিকেট ইতিহাসে সম্ভবত সবচেয়ে কম বয়সে হ্যাটিট্রক করলেন তিনি। তাইজুল ইসলাম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মোহাম্মদ মিঠুন কোনো রানই করতে পারেননি। তবে নাসিম শাহ’র হ্যাটট্রিক উইকেট হলেন শান্ত, তাইজুল এবং রিয়াদ। মিঠুনকে তুলে নেন ইয়াসির শাহ।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম দুইটা সেশন বেশ ভালোভাবেই কাটালো বাংলাদেশ। বোলাররা মাত্র ১০৩ রান দিয়েই তুলে নিয়েছে পাকিস্তানের শেষ ৭ উইকেট।
তবে বোলারদের এই সাফল্য কাজেই লাগাতে পারছে না ব্যাটসম্যানরা। ২১২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্রুতই দুই ওপেনার সাইফ হাসান এবং তামিম ইকবালকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। যার ফলে এখন ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কাও উঁকি দিচ্ছে বাংলাদেশ শিবিরে।
২১২ রানের বড় ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার পর ব্যাট করতে নেমে এমনিতেই মানসিক একটা চাপে ছিল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। সেই চাপটাই সম্ভবত কাটাতে পারেননি সাইফ হাসান। ৩৯ রানের জুটি গড়ার পর বিদায় নেন সাইফ হাসান। ২৫ বল মোকাবেলা করে মাত্র ১৬ রান করেন তিনি।
তামিম ইকবাল ঝড়ো গতিতে কিছু রান তোলার চেষ্টা করেন। তবে, সাইফ আউট হওয়ার পর তিনিও কিছুটা থমকে দাঁড়ান। শেষ পর্যন্ত ইয়াসির শাহ’র ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে যান তিনি। ততক্ষণে ৫৬ বলে ৩৪ রান করেন তিনি।
প্রথম ইনিংসে ৩ রান করে আউট হওয়ার পর মনে হচ্ছিল, এই ইনিংসে নিজের নামের প্রতি কিছুটা সুবিচার করবেন। কিন্তু তার সম্ভাবনাময়ী ইনিংসটা প্রস্ফুটিত হওয়ার আগেই ঝরে গেলো।
তামিম আউট হওয়ার পর নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুমিনুল হকের ব্যাটে ৭১ রানের জুটি গড়ে ওঠে। কিন্তু নাসিম শাহের তোপের মুখে ভেঙে যায় এই জুটি। শুধু ভাঙাই নয়, রীতিমত হ্যাটট্রিক করে ফেলেন তিনি।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ২৩৩ রানে। জবাবে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে সব ক’টি উইকেট হারিয়ে ৪৪৫ রান। ২১২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট শুরু করে বাংলাদেশ।
এসএইচ-১৭/০৯/২০ (স্পোর্টস ডেস্ক)